মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

বেনজীরের বিরুদ্ধে আদালতের রায়ে সরকারের সমর্থন রয়েছে: অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২৪, ০৭:১৮ পিএম

শেয়ার করুন:

বেনজীরের বিরুদ্ধে আদালতের রায়ে সরকারের সমর্থন রয়েছে: অর্থমন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদের সম্পদ ক্রোকের যে নির্দেশ আদালত দিয়েছেন তাতে সরকারের সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তবে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ বিষয়ে সেনাবাহিনী ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

রোববার (২৬ মে) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এই কথা জানান। এর আগে তিনি আইএমএফ নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণমূর্তি ভেঙ্কারা সুব্রামানিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন।


বিজ্ঞাপন


আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, আইএমএফ খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে। আমরা সে অনুযায়ী ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আমি ঋণখেলাপিদের ধরতে চাই।

ঋণখেলাপিরা অনেক শক্তিশালী, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আপনারা দেখছেন সাবেক পুলিশ প্রধানের (বেনজীর আহমেদ) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তার কি ক্ষমতা কম ছিল?'

এ সময় অর্থমন্ত্রী জানান, সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আদালত যে ব্যবস্থা নিচ্ছে, তাতে সরকারের সমর্থন রয়েছে।

সাংবাদিকেরা তখন বলেন, সাবেক সেনাপ্রধানের বিষয়ে সরকার তো কিছু করেনি। অর্থমন্ত্রী জবাবে বলেন, সরকার কিছু করেনি মানে সেনাবাহিনী কিছু করবে।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন

বেনজীরের আরও ১১৩ দলিলের সম্পদ ও গুলশানের ৪টি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ

বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদকের কমিটি

আজিজ আহমেদ তো এখন সেনাবাহিনীতে নেই বিষয়টি মনে করিয়ে দিলে অর্থমন্ত্রী বলেন, অবসরে যাওয়ার পরও সেনাবাহিনী কিছু করতে পারে।

আইএমএফের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি যাতে ডলারের প্রবাহ বাড়ানো যায়। এখানে অনেক নেগোসিয়েশন আছে। আশা করছি এ সমস্যার আমরা সমাধান করতে পারব। আমরা কাজ করছি। আইএমএফের নির্বাহী পরিচালক বলেছেন, আপনারা সঠিক পথে আছেন। আপনারা যে কাজ করছেন সমস্যা সমাধানে সেটাতে আমাদের সমর্থন আছে।’

চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার কথা আইএমএফের। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, জুন মাসেই তারা দেবে। সেখানে কোনো বাধা তো নেই।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধি আগামী অর্থবছরের বাজেটের প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে তিনি উল্লেখ করেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতিতে বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে, সেগুলোর উত্তরণ ঘটাতে হবে এবং আগামী বাজেটে সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ীমী লীগ যে ইশতেহার দিয়েছিলো সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আগামী বাজেটে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর