‘এই মাসের শুরুতেই ১২০ টাকা ডজন ডিম কিনলাম। দুই সপ্তাহ না যেতেই সেই এক ডজন ডিম ১৫০ টাকা। রাতারাতি ৩০ টাকা বাড়ল। কারো কোনো মাথাব্যথা নাই। একটা ডিম একসময় ৪-৫ টাকা কইরা কিনছি। এখন একটা ডিমের দাম ১৪ টাকা হয় ক্যামনে।’
ক্ষুদ্ধ হয়ে কথাগুলো বলছিলেন ডিম কিনতে আসা সাইফুল। শুধু সাইফুল নয়। ডিম কিনতে এসে হতাশ হয়ে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন অনেক ক্রেতাই। তাদের অভিযোগ ঠিক মতো তদারকি না থাকার কারণে যখন তখন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে।
বিজ্ঞাপন
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকায়। হালি বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৫০-৫৫ টাকা। যা দুই সপ্তাহ আগেও ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা ডজন। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আড়তে প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৪ টাকা। আর দেশি মুরগির ডজন ২৪০ টাকা। ১৮০ টাকা গুনতে হবে ১২টি হাঁসের ডিমের জন্য।
ডিমের দাম বাড়তির বিষয়ে ব্যবসায়ীদের যুক্তি, দুই সপ্তাহ ধরে ডিমের বাজার চড়া। কোনো ব্যাখ্যা দিচ্ছেন না আড়তদাররা। অন্যদিকে খামারিদের অভিযোগ, সবাই ডিম নিয়ে ব্যস্ত। ফিড আর মুরগির বাচ্চার দামে কেউ নজর দিচ্ছে না।
রাজধানীর বাড্ডা এলাকার দোকানদার আল-আমীন বলেন, কয়েক দিন আগেই আমি নিজেই বিক্রি করেছি ১২০ টাকা ডজন। এখন আমরা এই দামে কিনতেও পাই না।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, আলুর হিমাগারে লাখ লাখ পিস ডিম মজুত করে বাজারে তৈরি করা হচ্ছে কৃত্রিম সংকট এবং চলছে নৈরাজ্য। ডিম মজুত করে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাড়ানো হচ্ছে ডিমে দাম। ডিমের পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও কয়েকদিনে হালিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত।
সম্প্রতি বগুড়ার কাহালু উপজেলার মুরইল আফরিন ক্লোল্ড স্টোরে ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৩৮৮টি ডিম মজুত রাখার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
টিএই/এএস