শেয়ারের টানা দরপতন ঠেকাতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এবার শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকারের (দাম বাড়া বা কমার সর্বোচ্চ সীমা) নতুন নিয়ম চালু করল বিএসইসি।
এর ফলে একদিনে কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম ৩ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না। তবে ফ্লোর প্রাইসে থাকা কোম্পানির ক্ষেত্রে এই সীমা প্রযোজ্য হবে না। বিএসইসি জানিয়েছে, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২৪ এপ্রিল) এ বিষয়ে এক নির্দেশনা জারি করেছে বিএসইসি। এতে সই করেছেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে সার্কিট ব্রেকারের নতুন নিয়ম কার্যকর হবে।
শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে আগের সীমা বহাল আছে। শেয়ারের আগের দিনের বাজার মূল্যের আলোকে পরদিন মূল্য সর্বনিম্ন ৩.৭৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারবে।
বিদ্যমান সার্কিটব্রেকার পদ্ধতিতে, শেয়ারের দামের ভিত্তিতে মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধির সীমা বেঁধে দেওয়া আছে। যে কোনো কোম্পানির শেয়ারের আগের দিনের ক্লোজিং মূল্যের আলোকে পরদিন এই সীমা প্রযোজ্য হয়।
কোনো কোম্পানির শেয়ারের মূল্য ২০০ টাকার মধ্যে থাকলে পরদিন ওই শেয়ারের মূল্য সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে বা কমতে পারে। মূল্য ২০০ টাকার উপর থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ৮.৭৫ শতাংশ, ৫০০ টাকার উপর থেকে ১০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত ৭.৫০ শতাংশ, মূল্য ১০০০ টাকার উপর থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত ৬.২৫ শতাংশ, ২০০০ টাকার উপর থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ এবং মূল্য ৫০০০ টাকার বেশি হলে ৩.৭৫ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারে।
বিজ্ঞাপন
এই সার্কিট ব্রেকারের ওপরের সীমা তথা মূল্য বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমাটি বহাল রেখে আজ নিম্নসীমা তথা মূল্য হ্রাসের সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার বাজারে আজ লেনদেন হওয়া ৩৯৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৭৪টি বা ৭০ শতাংশেরই দরপতন হয়েছে। দাম বেড়েছে ৭৯টি বা ২০ শতাংশ শেয়ারের। আর দাম অপরিবর্তিত ছিল ৪১টির বা ১০ শতাংশের।
সূচক ও লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমলেও মোট লেনদেনে কিছুটা উন্নতি দেখা গেছে। এ দিন ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৬০৩ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৫ কোটি টাকা বেশি।