শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

ইচ্ছাকৃত খেলাপি না হলে গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানে ঋণ পাওয়া যাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৬ এএম

শেয়ার করুন:

এবার আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণে সুদ সাড়ে ১৫ শতাংশ ছাড়াল
ফাইল ছবি

ইচ্ছাকৃত খেলাপি না হলে এবং খেলাপি হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো যুক্তি সংঘত কারণ থাকলে গ্রুপভুক্ত অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি খেলাপী বলে গণ্য হবে না। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে ঋণ সুবিধা প্রদান করা যাবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ব্যাংক কোম্পানি আইনের ধারা ২৭কক (৩) অনুযায়ী, কোনো খেলাপী ঋণগ্রহীতার অনুকূলে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কোনোরূপ ঋণ সুবিধা প্রদান করবে না মর্মে উল্লেখ রয়েছে। তবে একই আইনের ৫(গগ) ধারার বিধান অনুসারে পরস্পর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট গ্রুপভুক্ত কোনো খেলাপী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান  অথবা কোম্পানী যদি ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা না হয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট ওই ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার ক্ষেত্রে কারণ যুক্তিসঙ্গত মনে হয় তাহলে ওই ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী খেলাপী হওয়ার কারণে গ্রুপের অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী খেলাপী বলে গণ্য হবে না। এছাড়া ওইসব প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে ঋণ সুবিধা প্রদান করা যাবে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, কোনো ঋণ গ্রহীতা খেলাপী হিসেবে চিহ্নিত হলে ওই খেলাপী ঋণ গ্রহীতার অনুকূলে কোন ঋণ সুবিধা প্রদান করা যাবে না। তফসিলি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গ্রুপভুক্ত কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীকে চূড়ান্তভাবে ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা হিসেবে তালিকাভুক্ত করার পর ওই তালিকাভুক্তির বিরুদ্ধে ঋণ গ্রহীতার বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট আপীল করলে ওই আপীল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট প্রতিষ্ঠানটির অনুকুলে ঋণ প্রদানের আবেদন করা যাবে না। 

একই সাথে গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী খেলাপি হওয়ার পরও যদি ঋণ সুবিধা পায় তবে সুবিধা গ্রহণের ১ বছরের মধ্যে খেলাপী ঋণহিসাবটি বিদ্যমান নীতিমালা অনুসরণ করে সমন্বয় বা নিয়মিত করতে হবে। যদি এই সময়ে খেলাপী ঋণহিসাব সমন্বয় বা নিয়মিত করতে ব্যর্থ হয় অথবা ঋণহিসাব নিয়মিতকরণের পর পুনরায় খেলাপী হিসেবে চিহ্নিত হয় তবে গ্রুপভুক্ত অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীকে নতুন করে আর কোনো ঋণ সুবিধা প্রদান করা যাবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ঋণ প্রদানের আবেদনপত্র বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণের ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সাথে গ্রুপভুক্ত খেলাপী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী খেলাপী হওয়ার কারণসমূহ উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। ওই খেলাপী ঋণ গ্রহীতা ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা কি না তা নিশ্চিত করার জন্য এ সংক্রান্ত হালনাগাদ সিআইবি রিপোর্ট সংযুক্ত করতে হবে। একই সাথে সিআইবি-তে রিপোর্টিংয়ের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্দেশনা জারির পূর্ব পর্যন্ত উক্ত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা নন মর্মে সংশ্লিষ্ট সকল ঋণদাতা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে প্রত্যয়নপত্র গ্রহণ করত তা সংযুক্ত করতে হবে।


বিজ্ঞাপন


পূর্বানুমোদন প্রদানের পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক গ্রুপভুক্ত খেলাপী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী খেলাপী হওয়ার যুক্তিসঙ্গত কারণ, ঋণ আবেদনকারী সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহীতার ব্যাংক হিসাব ও প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম এবং পরিদর্শন দলের বিবেচনায় প্রয়োজনীয় বিষয়াবলী পর্যালোচনার লক্ষ্যে সরেজমিনে পরিদর্শন করা হবে। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক যেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে তাই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

টিএই/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর