বেশ কয়েক মাস ধরে তারল্য সংকটে ভুগছে দেশের ব্যাংক খাত। সংকট কাটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধারাবাহিকভাবে ধার করে চলছে ব্যাংকগুলো। এক দিনেই ১৭ হাজার পাঁচ কোটি টাকা ধার দিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকে বুধবার (১৩ মার্চ) বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য রেপো, লিকুইডিটি সাপোর্ট সুবিধা, মুদারাবা লিকুইডিটি সাপোর্ট এবং শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর জন্য ইসলামিক ব্যাংকস লিকুইডিটি সুবিধার (আইবিএলএফ) নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এই নিলামে এক দিন মেয়াদি রেপো সুবিধার আওতায় চারটি ব্যাংক ৬২৩ কোটি টাকা, সাত দিন মেয়াদি রেপোর বিপরীতে ২০টি ব্যাংক ও দুইটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়েছে আট হাজার ২১৫ কোটি টাকা। একটি ব্যাংক ২৮ দিন মেয়াদি মুদারাবা লিকুইডিটি সাপোর্টের আওতায় ১২০ কোটি টাকা নিয়েছে।
এছাড়া এক দিন মেয়াদি তারল্য সুবিধার আওতায় ১৪টি বেসরকারি ব্যাংক চার হাজার ৬৯ কোটি টাকা নিয়েছে। আর ইসলামিক ব্যাংকস লিকুইডিটি সুবিধার আওতায় পাঁচটি ব্যাংক তিন হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা নিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এক দিন ও সাত দিন মেয়াদি রেপোর বার্ষিক সুদহার যথাক্রমে ৮ শতাংশ এবং ৮ দশমিক ১০ শতাংশ। আর ইসলামিক ব্যাংকস লিকুইডিটি সুবিধার (আইবিএলএফ) সুদাহার ৭ শতাংশ থেকে ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ পর্যন্ত। এছাড়া ২৮ দিন মেয়াদী মুদারাবা লিকুইডিটি সাপোর্টের সুদহার ৮ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে দেশের মূল্যস্ফীতি প্রায় ১০ শতাংশ। বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও এটি কমাতে পারেনি আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা।
গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকার এক লাখ ২২ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। এর সিংহভাগ বাংলাদেশ ব্যাংক দিয়েছিল। এর ওপর সুদের হার এক জায়গায় ধরে রাখা হয়েছিল।
এছাড়া রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বাজার থেকে টাকা উঠে আসছে। এর ফলে ব্যাংক খাত তারল্য সংকটে ভুগছে। অপরদিকে সোয়াপের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডলার রেখে টাকা নেওয়ারও সুযোগ পেয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।
টিএই/জেবি