শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

‘রেড-গ্রিন-ইয়োলো জোন’ নিয়ে ব্যাখ্যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২৪, ০৫:৪০ পিএম

শেয়ার করুন:

‘রেড-গ্রিন-ইয়োলো জোন’ নিয়ে ব্যাখ্যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ব্যাংকগুলোর রেড-গ্রিন-ইয়োলো জোনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবেদনের বিষয়ে এবার ব্যাখ্যা দিয়েছে ব্যাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রতিবেদনের বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক।

মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, দুর্বল ও সবল ব্যাংকের তালিকা রিসার্সের জন্য করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল স্টেবিলিটি ডিপার্টমেন্ট ব্যাংকগুলোর ছয়টি কম্পোনেন্ট নিয়ে এসব ব্যাংকের তালিকা করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ছয় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকসহ মোট ৩৮টি ব্যাংককে দুর্বল ব্যাংক হিসেবে চিহ্নিত করে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে ৫৪ ব্যাংকের অবস্থা বিশ্লেষণ করা হয়। যেখানে ১২টি ব্যাংকের অবস্থান অত্যন্ত নাজুক, যার নয়টি ইতোমধ্যে রেড জোনে চলে গেছে। ইয়েলো জোনে রয়েছে ২৯টি ব্যাংক আর তিনটি ব্যাংক রেড জোনের খুব কাছাকাছি অবস্থান।

সংবাদ সম্মেলনে মেজবাউল হক বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ছয়টি কম্পোনেন্ট নিয়ে দুর্বল-সবল ব্যাংকের তালিকা করেছে। এটা আমাদের নিজস্ব রিসার্সের জন্য করা হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার জন্য আমাদের এ রেটিং করা হয়নি। তাছাড়া কোন ব্যাংক দুর্বল এটাতো জানা। শেয়ারবাজার থেকেও চিত্র আপনারা দেখতে পান।

আরও পড়ুন

অর্থপাচার ঠেকাতে হুন্ডির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে বাংলাদেশ ব্যাংক

মুখপাত্র বলেন, আমাদের সব রিপোর্ট পাবলিকের জন্য করা হয় না। বেশ কিছু রিপোর্ট জাতীয় স্বার্থে গোপন করতে হবে। ব্যাংকগুলোর ওপর ক্যামেলস রেটিং কখনো পাবলিক হওয়ার জন্য নয়, এটা গোপনীয়। আমাদের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট বিভিন্ন কম্পোনেন্ট নিয়ে এসেসমেন্ট করে। রেগুলার ফাইন্যান্সিয়াল রিক্স ম্যানেজমেন্টের জন্য করা হয়, এটা প্রকৃত হেল্থ ইন্ডিকেটর নয়।


বিজ্ঞাপন


এসময় তিনি আরও বলেন, ব্যাংকগুলোকে শ্রেণিকরণ করতে একটা পিসিএ ফ্রেমওয়ার্ক করেছি। যেখানে চারটি ক্যাগরিতে ব্যাংকগুলোকে মূল্যায়ন করা হবে। চলতি বছরের ব্যালেন্স শিটের ওপর ভিত্তি করে এটা করা হবে। যেটা কার্যকর হবে ২০২৫ এর মে মাস থেকে।

একীভূত বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, আগামী এক বছরে ১০ ব্যাংকে মার্জারের (একীভূত) পরিকল্পনা রয়েছে। মার্জারের বিশ্বব্যাপী প্রক্রিয়া রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্বতাও থাকবে মার্জারের ক্ষেত্রে। এখানে দুর্বল ব্যাংক সবল ব্যাংক হতে পারে আবার সবল ব্যাংক আরও সবল ব্যাংক হতে পারে।

টিএই/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর