রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ট্রাক থেকে কাঁচামাল আনলোডিং, আড়তদার ও পাইকারি পর্যায়ে বর্ণিত পণ্যসমূহ সরবরাহ ও বিক্রয় কার্যক্রমে বেশ কিছু অনিয়ম পাওয়া গেছে। এসব কারণে কারওয়ান বাজার কাঁচামাল আড়ত ব্যবসায়ী সমিতিকে অনিয়মের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। মঙ্গলবারের (১২ মার্চ) মধ্যে তাদের ভোক্তা অধিদফতরের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
যেসব অনিয়ম পাওয়া গেছে তার মধ্যে রয়েছে-
বিজ্ঞাপন
১. ব্যবসায়ীরা রাতে পচনশীল সবজি-পণ্য (বেগুন, শসা ও লেবু) খোলা রাস্তায় এবং আড়তের আংশিক জায়গায় বিপুল পরিমাণ পণ্য অন্য পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন, কিন্তু তাদের কোনো ট্রেড লাইসেন্স নেই।
২. সবজির আড়তদার/পাইকারি বিক্রেত পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের রসিদ গ্রহণ বা প্রদান করেন না।
৩. আড়তদার/পাইকারি বিক্রেতারা পণ্যের কোনো মূল্য তালিকা প্রদর্শন করেন না।
৪. সবজির সরবরাহ ব্যবস্থায় উৎপাদক থেকে খুচরা বিক্রেতা পর্যন্ত প্রায় ৫/৬টি হাত বদলের মাধ্যমে পণ্য ভোক্তার নিকট পৌঁছোয়।
বিজ্ঞাপন
৫. কারওয়ান বাজারে কাঁচামাল সরবরাহ ব্যবস্থায় কিছুসংখ্যক ফরিয়া/মধ্যস্বত্বভোগীর উপস্থিতি লক্ষণীয় যাদের কোনো দোকান বা ব্যবসায়িক পরিচয় পাওয়া যায়নি।
৬. সরবরাহ ব্যবস্থার প্রতিটি পর্যায়ে পণ্য হাত-বদলের ফলে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে মর্মে প্রতীয়মান হয়।
৭. সবজির আড়তসমূহে পণ্য সরবরাহ ও বিক্রয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট আইন-কানুন প্রতিপালন হতে দেখা যায়নি এবং তদারকির সময় আড়তের মালিক/প্রতিনিধিদের পাওয়া যায়নি।
৮. উৎপাদক, আড়তদার এবং পাইকারি এবং খুচরা- কোনো পর্যায়েই পণ্য ক্রয়-বিক্রয় রসিদের প্রচলন পরিলক্ষিত হয়নি।
এসব কারণে পবিত্র রমজানসহ সারা বছর কাঁচাপণ্যের অবাধ সরবরাহ ও যৌক্তিক মূল্য নিশ্চিত তথা এ সংশ্লিষ্ট আইন, বিধি-বিধান পরিপালনে আড়তদার/পাইকারি সমিতির সদিচ্ছা ও আগ্রহ নেই মর্মে বাজার তদারকিতে পরিলক্ষিত হয়েছে।
এ অবস্থায় অধিফতরের পক্ষ থেকে দ্রব্যমূল্য যৌক্তিক ও সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে উল্লিখিত অনিয়মের উপযুক্ত ব্যাখ্যা ১২ মার্চের মধ্যে বিনা ব্যর্থতায় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে (১ কারওয়ান বাজার, টিসিবি ভবন, ৮ম তলা, ঢাকা) নিজে/প্রতিনিধি উপস্থিত হয়ে প্রদানের জন্য নির্দেশ করা হয়।
টিএই/জেবি

