শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনতে নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:৩৫ পিএম

শেয়ার করুন:

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনতে নির্দেশ
ফাইল ছবি

বেসরকারি ব্যাংকের পর এবার দেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ সম্পর্কিত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। এটি দেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি দেশে চালু হওয়া সর্বজনীন পেনশন স্কিমে সব বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

আরও পড়ুন

সর্বজনীন পেনশনে কত জমা দিলে কত পাবেন?

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, জনগোষ্ঠীকে টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতাভুক্ত করার লক্ষ্যে সরকার ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন-২০২৩ এবং ১৩ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা-২০২৩ প্রণয়ন করে।

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারী বা প্রতিষ্ঠানের মালিক, অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তি, দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী স্বল্প আয়ের ব্যক্তি এবং বিদেশে কর্মরত বা অবস্থানকারী যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিকের অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে।


বিজ্ঞাপন


নির্দেশনায় বলা হয়, দেশের সর্বস্তরের জনগণকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে অন্তর্ভুক্তির উদ্দেশ্য পূরণে ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হলো।

আরও পড়ুন

সর্বজনীন পেনশন, জানতে হবে ২১টি বিষয় 

দেশের নাগরিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনতে সর্বজনীন স্কিম চালু করেছে সরকার। গত বছরের ১৭ আগস্ট এই কর্মসূচির ছয়টি স্কিমের মধ্যে চারটি স্কিম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাকি দুটি পরে চালু করা হবে। এর মধ্যে ‘প্রবাস’ স্কিমটি প্রবাসীদের জন্য। ‘প্রগতি’ স্কিম চালু করা হয়েছে বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য। অনানুষ্ঠানিক খাত অর্থাৎ স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য রয়েছে ‘সুরক্ষা’। আর ‘সমতা’ স্কিমটি নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য।

১৮ বছরের বেশি দেশের চার শ্রেণির প্রায় ১০ কোটি মানুষ এ কর্মসূচিতে অংশ নেবে বলে আশা করছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে শুরুর কয়েক মাসে আশানুরূপ সাড়া মেলেনি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর