কোকাকোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস লিমিটেড (সিসিবিবি) কিনতে যাচ্ছে তুরস্কের কোকাকোলা আইসেক (সিসিআই)। এতে প্রতিষ্ঠানটিকে খরচ করতে হবে ১৩ কোটি মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ হাজার ৪৩০ কোটি)। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তি সম্পন্ন করেছে সিসিআই।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) নিজেদের ওয়েবসাইটে আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিজ্ঞাপন
এতে বলা হয়েছে, ১৩ কোটি ডলারের বিনিময়ে সিসিআই কোকাকোলা বাংলাদেশ বেভারেজেসের শতভাগ শেয়ার অধিগ্রহণ করবে।
সিসিআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) করিম ইয়াহি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা সিসিবিবি অধিগ্রহণের জন্য শেয়ার ক্রয়ের চুক্তি স্বাক্ষর করতে পেরে আনন্দিত। এই চুক্তিকে আমরা ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় বাজারে প্রবেশের দারুণ সুযোগ হিসেবে দেখছি।’

বিবৃতিতে দেওয়া তথ্যানুযায়ী, কোকাকোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস দেশে কোক ব্র্যান্ডের পানীয় উৎপাদন, বিক্রয় ও বিতরণ করে। এই কোম্পানি রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও ঢাকা অঞ্চলের প্রায় ১০ কোটি গ্রাহককে সেবা দেয়। তাদের তিন শতাধিক কর্মচারী রয়েছে। এ ছাড়া একটি বোতলজাত প্ল্যান্ট, তিনটি গুদামসহ প্রায় তিন লাখ বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে কোম্পানির। তাদের ডিস্ট্রিবিউটরের সংখ্যা ৫০০।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশে কোমল পানীয়ের বাজারের আকার চার হাজার কোটি থেকে ছয় হাজার কোটি টাকা। যুক্তরাষ্ট্রের দুই বহুজাতিক কোমল পানীয় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কোকাকোলা ও পেপসিকোর পাশাপাশি প্রাণ, আকিজ, পারটেক্স ও মেঘনার মতো বেশ কয়েকটি স্থানীয় প্রতিষ্ঠান এই চাহিদা পূরণ করে।
সিসিআইয়ের মতে, ২০১৯-২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের নন-অ্যালকোহলিক কোমল পানীয়ের বাজারে ১০ শতাংশ গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ২০৩২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের নন-অ্যালকোহলিক কোমল পানীয়ের বাজার ১২ শতাংশ বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।
কোকাকোলা ব্র্যান্ডের পণ্য উৎপাদন, বিতরণ ও বাজারজাত করে থাকে সিসিআই। বর্তমানে ১১টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে এই কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালিত হয়। দেশগুলো হলো—তুরস্ক, তুর্কমেনিস্তান, আজারবাইজান, ইরাক, জর্ডান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, সিরিয়া, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান।
এমএইচটি

