সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

রাজধানীর জলাবদ্ধতার প্রভাব বাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৩০ এএম

শেয়ার করুন:

রাজধানীর জলাবদ্ধতার প্রভাব বাজারে

গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঝুম বৃষ্টি হয়েছে। এতে ঢাকার বেশির ভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও জমা হয়েছে কোমর সমান পানি। কিছু জায়গায় পানি জমা ছিল আজ সকাল পর্যন্ত। ফলে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিপাকে পড়েছেন দোকানিরাও। সড়ক পানিতে তলিয়ে থাকায় পাইকারি মার্কেটগুলোতে পর্যাপ্ত সবজি, মাছ না পেয়ে ফিরতে হয়েছে খুচরা দোকানিদের। এতে চাহিদা বেশি থাকায় দোকানিরা বেশি দাম হাঁকাচ্ছেন বলে দাবি ক্রেতাদের।

নিউমার্কেট কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক দিনের ব্যবধানে সবজি দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। শুধু তাই নয়, প্রায় সব সবজি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। 


বিজ্ঞাপন


বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। 

নিউমার্কেট কাঁচা বাজারের দোকানি জসিম উদ্দিন বলেন, রাতে পাইকারি আড়ৎ থেকে সবজি নিয়ে আসি। আবার কোনো কোনো দিন ভোরে। কিন্তু আজ সবজি আনার মতো অবস্থাই ছিল না। রাত থেকেই রাস্তায় পানি। সকালেও পানি নামেনি। তারপরও বেলা করে (দেরি করে) যারা কারওয়ান বাজারে গেছে খুব একটা মাল পায়নি।

আরও পড়ুন: ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

একই অবস্থার কথা জানালেন হাজারীবাগ, ঝিগাতলাসহ নবাবগঞ্জ বাজারের বিক্রিতারা। তারা বলছেন, সপ্তাহের যেকোনো দিনের তুলনায় শুক্রবার ক্রেতাদের উপস্থিতি কিছুটা বেশি থাকে। আজ বাজারের দিন। কিন্তু লাগাতার বৃষ্টিতে মাছসহ সবজির গাড়ি আসতে পারেনি।


বিজ্ঞাপন


নবাবগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা যায়, শিং মাছ (আকারভেদে) কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৭০০ টাকায়, রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, মৃগেল ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়, পাঙ্গাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১৬০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ১০০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায়, কাতল ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আবহাওয়ার সম্ভাব্য বিষয় নিয়ে গবেষণা করে পূর্বাভাস দিয়ে থাকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর। সংস্থাটি নিয়মিত তাদের ওয়েবসাইটে সে তথ্য প্রকাশ করে। তবে বৃহস্পতিবারের পূর্বাভাস ও বাস্তবতার মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক পাওয়া গেছে। আবহাওয়া অধিদফতর ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭ থেকে পরবর্তী ছয় ঘণ্টা আবহাওয়া কেমন থাকতে পারে, সে সংক্রান্ত একটি পূর্বাভাস প্রকাশ করে। পূর্বাভাসটি ঢাকা ও এর পাশ্ববর্তী এলাকার জন্য।

এতে বলা হয়, ‘আকাশ মেঘলা থেকে অস্থায়ী মেঘলা থাকতে পারে’। তবে রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও ধানমণ্ডি এলাকায় বৃষ্টিপাত শুরু হয় সন্ধ্যা ৭টার কিছু পরেই। যা রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এরমধ্যে কোথাও কোথাও মাঝে বৃষ্টিপাত কিছুটা থামলেও বেশিরভাগ জায়গায় টানা বৃষ্টিপাত হয়।

চার থেকে সাড়ে চার ঘণ্টার বৃষ্টিতে রাজধানীজুড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মিরপুর ও ধানমণ্ডি এলাকায় জলাবদ্ধতা ভয়ংকর চেহারা ধারণ করেছে।

ডিএইচডি/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর