রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

৫০ টাকাতেই বিক্রি হচ্ছে আলু, কমেনি পেঁয়াজের ঝাঁজও

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:১৮ পিএম

শেয়ার করুন:

Bazar
বাজারে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু-পেঁয়াজ। ছবি: ঢাকা মেইল

সিন্ডিকেট-কারসাজি করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা রুখতে সরকারের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও বাজারে নির্দিষ্ট দামে মিলছে না আলু ও পেঁয়াজ। বৃহস্পতিবার আলুর কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা এবং পেঁয়াজের দাম ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। গতকাল থেকেই এই দর কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও বাজারে এর যেন কোনো প্রভাবই নেই।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি আলু ৫০ টাকাতেই বিক্রি হচ্ছে। আবার প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকা দরে। এছাড়াও আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়।


বিজ্ঞাপন


দোকানিদের দাবি- সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে আলু কিনতে পারেননি তারা। তাই আগের দামেই বিক্রি করছেন।

 

মুগদা মধুবাগ বাজারের খুচরা বিক্রেতা বলেন, ‘সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ৩৫ টাকা। সেই দামে আলু আমরা কিনতেও পাইনি। বেচব কি করে?’


বিজ্ঞাপন


একই কথা জানিয়ে আরেক খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, ‘এসব আলু আমার আগের কেনা। ৪০ টাকাতেও বিক্রি করা সুযোগ নাই।’

এদিকে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মাঝে সরকার প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। পাশাপাশি সয়াবিন তেতের দাম লিটারপ্রতি ৫ টাকা কমানো হয়েছে। এই হিসেবে বর্তমানে প্রতি কেজি বোতলজাত সয়াবিন ১৬৯ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৪৯ টাকা দরে বিক্রির কথা। এছাড়াও পাম তেলের দাম লিটারে ৪ টাকা কমিয়ে ১২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছ। কিন্তু দাম বেঁধে দেওয়ার পরও শুক্রবার আগের মতোই ১৫০ টাকাতেই বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ডিম। হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা।

অন্যদিকে, আজও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আদা-রসুন। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি রসুন ২২০-২৩০ টাকা এবং আদা ২৮০-৩০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

যদিও বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভার পর অসাধু ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, প্রথম পর্যায়ে সীমিত আকারে ডিম আমদানি করা হবে। তবে ১২ টাকার বেশি দামে বিক্রি হলে, তখন বেশি পরিমাণ ডিম আমদানি করা হবে।

Trade
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মাঝে কিছু পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার। ছবি: ঢাকা মেইল

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাজারে কোনো কারণ ছাড়াই অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে। এরমধ্যে আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্য রয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন ন্যায্যদাম কার্যকর করব। নতুন করে টিসিবির কার্ড করা হচ্ছে। আমরা (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়) ৫০ লাখ পরিবারের জন্য কার্ড করেছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক কোটি করার নির্দেশ দিয়েছেন। বাকিগুলো শিগগিরই মানুষ হাতে পেয়ে যাবে। কার্ডের কাজ চলছে।

এদিকে, বাজারে সরবরাহে ঘটতি না থাকার পরও কমছে না সবজির দাম। শুক্রবার বাজারে লম্বা বেগুন প্রতিকেজি ৭০-৮০ টাকা, গোল বেগুন ৮০-৯০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, করল্লা ৮০-৯০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা, ঢেরস ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও মান ও আকারভেদে লাউ প্রতিপিস ৬০-৮০ টাকা, জালি ৫০-৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। যা গেল সপ্তাহজুড়েও কিছুটা কমে বিক্রি হয়েছে।

Trade2
বাজারের দোকানের তুলনায় ফুটপাতের দোকানগুলোয় প্রত্যেক সবজি ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। ছবি: ঢাকা মেইল

অন্যদিকে, নতুন সবজি হিসেবে বাজারে প্রতিকেজি শিম ১৬০-১৮০ টাকা, টমেটো ১২০-১৪০ টাকা, মুলা ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কচুর মুখি ৮০-৯০ টাকা কেজি, পুঁইশাক ৪০ টাকা আঁটি, পাট শাক ১৫-২০ টাকা আঁটি, লাল শাক ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে বাজারের দোকানের তুলনায় ফুটপাতের দোকানগুলোয় প্রত্যেক সবজি ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।

টিএই/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর