খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ হওয়ার কথা। তবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মিলছে খোলা সয়াবিন তেল। দাম বোতলজাত তেলের চাইতেও বেশি।
সয়াবিন তেলের নতুন মূল্য নির্ধারণ হয়েছে ১৭৯ টাকা। গত ১১ জুলাই বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞাপন
রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর, গাবতলী, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি এলাকায় নতুন দামেই বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মোহাম্মদপুরের আরাফাত জেনারেল স্টোরের মালিক মো. ফরহাদ ঢাকা মেইলকে বলেন, খোলা তেল নাই, বোতল। আমরা খোলা তেল পাই না অনেকদিন। এক লিটারের বোতল ১৭৯ টাকা।
বুধবার (০২ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট ঘুরে কোথাও খোলা সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি। তবে পাম অয়েল ও সুপার তেল পাওয়া গেছে। আবার কৃষি মার্কেট থেকে পাইকারি নিয়ে যারা খুচরা বিক্রি করেন, সে সকল দোকানে খোলা সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে।
নগরির মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদ হাউজিং, চাঁদ উদ্যান, নবীনগর, ঢাকা উদ্যান এলাকায় তুলনামূলক কম আয়ের মানুষের বসবাস বেশি। এ সকল এলাকার দোকানে মিলছে সয়াবিন তেল। বোতলজাত তেলের পাশাপাশি খোলা সয়াবিন তেলেরও কমতি নেই এসব দোকানে।
বিজ্ঞাপন
সাত মসজিদ হাউজিং এলাকায় ভোলা এন্ড নার্গিস জেনারেল স্টোরে খোলা সয়াবিন তেলের দাম জানতে চাইলে দোকানি জানান, ১৮০ টাকা লিটার। আধা লিটার নিলে ৯৫ টাকা।
চাঁদ উদ্যান এলাকার ভাই ভাই জেনারেল স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে সয়াবিন ও সুপার তেল। দোকানটিতে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৯০ টাকা।
পাশের সততা জেনারেল স্টোরে একইভাবে খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ টাকা লিটার দরে।
অর্থাৎ বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী, এক লিটার বোতলজাত তেলের চাইলেও খোলা তেলে প্রতি লিটারে ১০ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
এ এলাকায় নতুন দামের বোতলজাত তেলের অস্তিত্ব নেই। আগের দামেই তেল বিক্রি করছেন দোকানিরা। প্রতি লিটার বোতলজাত তেল ১৯০ টাকা।
এদিকে মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে বাজার তদারকিতে নেমেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। সংস্থাটির মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানিয়েছেন, খোলা অবস্থায় সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধে সারাদেশে তাদের ৫২টি দল মঙ্গলবার থেকে তদারকি করছে।
আবার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধের জন্য আরও ছয় মাস সময় চেয়েছেন আমদানিকারক ও পরিশোধনকারী মিল মালিকেরা।
এই সময় চেয়ে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে চিঠি দিয়েছে।
অল্প তেল কেনার বিকল্প ব্যবস্থা না করে খোলা ভোজ্যতেল বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন সাধারণ ক্রেতারা।
কারই/এএস

