শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

তিন বছরে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় জুনে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২ জুলাই ২০২৩, ০৭:০৯ পিএম

শেয়ার করুন:

তিন বছরে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় জুনে

সদ্য বিদায়ী জুন মাসে দেশে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার। গত তিন বছরের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, গেল বছরের জুনে প্রবাসী আয় ছিল ১৮৩ কোটি ৭২ লাখ ডলার। সেই হিসাবে প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। এর আগে ২০২০ সালের জুলাই মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার। যা এ যাবতকালে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়। সে সময় করোনাভাইরাস মহামারিতে পরিবহন বন্ধ এবং দেশে দেশে লকডাউন থাকায় হুন্ডি বন্ধ ছিল। ফলে বৈধ পথে আসা প্রবাসী আয়ের পরিমাণ বেড়েছিল। 


বিজ্ঞাপন


রোববার (২ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত প্রবাসীরা প্রায় ২০২ কোটি মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন। এর পরের কয়েক দিনে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলারে। গত মে মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, গত বছরের জুনে প্রায় ১৮৪ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল। ২০২১ সালের জুনে এসেছিল ১৯৪ কোটি ডলার। ২০১৯ ও ২০২০ সালের জুনে এসেছিল যথাক্রমে ১৩৬ কোটি ও ১৮৩ কোটি ডলার।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রথম দুই মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ ভালো ছিল; ওই সময় ২০০ কোটি ডলারের উপরে রেমিট্যান্স আসে। অর্থবছরে প্রথম মাস জুলাইয়ে আসে ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার এবং আগস্টে ছিল ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। এরপরে প্রবাসী আয় আশানুরূপ আসেনি। টানা পাঁচ মাস ২০০ কোটির ঘর ছুঁতে পারেনি রেমিট্যান্স। সেপ্টেম্বর আসে ১৫৪ কোটি ডলার, অক্টোবরে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ৫১ লাখ, ডিসেম্বরে ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ, জানুয়ারিতে এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ডলার এসেছে। 


বিজ্ঞাপন


ব্যাংক খাত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখেই মূলত প্রবাসীরা দেশে থাকা তাদের পরিবার-পরিজনের কাছে বাড়তি অর্থ পাঠিয়েছেন। সাধারণত প্রতি ঈদের আগে দেশে অতিরিক্ত প্রবাসী আয় আসে। তবে গত এপ্রিলে উদ্‌যাপিত ঈদুল ফিতরের আগে প্রবাসী আয় খুব বেশি বাড়েনি। সেই তুলনায় ঈদুল আজহার সময় দেশে প্রবাসী আয় বেশি এসেছে।

ব্যাংক খাত-সংশ্লিষ্টদের মতে— প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকেই দেশে কোরবানি দিয়ে থাকেন, তাই তারা বাড়তি অর্থ পাঠিয়েছেন। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে বিভিন্ন সংস্থা কোরবানির জন্যও বাংলাদেশে অর্থ পাঠায়।

এদিকে প্রবাসী আয় দেশে আনার দিক থেকে বরাবরের মতো এবারও শীর্ষে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে রাষ্ট্রমালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে। এছাড়া তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এনেছে বেসরকারি খাতের প্রিমিয়ার ব্যাংক।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, রেমিট্যান্স বেড়েছে তা খুবই সামান্য; এটা আশানুরূপ নয়। কারণ যে হারে বিদেশে জনশক্তি রফতানি হচ্ছে সেই হারে আমরা রেমিট্যান্স পাচ্ছি না। কেন রেমিট্যান্স আসছে না তার কারণ খতিয়ে দেখা দরকার। রেমিট্যান্স বাড়ানো না গেলে দেশের অর্থনীতি খুব একটা ভালো হবে না। তাই যেকোনো মূল্যে রেমিট্যান্স বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে।

এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর