নাম তার রাজাবাবু। নামের সঙ্গে মিশে আছে আচার ব্যবহার। হাটা চলা, নম্র-ভদ্র, খাওয়া-দাওয়া ও নাজুক প্রকৃতির হওয়া তার নাম রাখা হয় রাজাবাবু। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নের হাজারবিঘি চাঁদপুর গ্রামের প্রান্তিক কৃষক ও সাবেক কাউন্সিলর জুলফিকার আলী এই ষাড়টি গেলো ১ বছর ধরে লালন-পালন করে আসছেন। গেল ১ বছর ধরে প্রাকৃতিক উপায়ে খাবার ও ঘাষ খেয়ে পরম মমতায় বেড়ে উঠছে রাজাবাবু।
রাজাবাবুর খাবার মেনুতে প্রাকৃতিক খাবারের পাশাপাশি কলা, আপেল, কমলা, বেদানা ও মৌসুমী ফল আমও রয়েছে। প্রতিদিন রাজাবাবুর পেছনো ব্যয় করা হয় ১ হাজার থেকে ১২শ টাকা। লম্বা ও উচ্চতায় ফিতার মাপে রাজাবাবুর ওজন ধরা হয়েছে প্রায় ৩৫ মণ। কোরবানির ঈদের সামনে রেখে তার দাম হাকছেন ১৭-১৮ লাখ টাকা।
বিজ্ঞাপন
জুলফিকার ও তার সন্তান বলছেন, প্রাকৃতিক উপায়ে কোনো প্রকার মেডিসিন ছাড়ায় লালন-পালন করা হচ্ছে ষাড়কে। গেল কোরবানিতে চাঁপাই সম্রাট নামের একটি কালো রঙের ষাড় লালন-পালন করা হয়। এবার এ বছর রাজাবাবুকে কোরবানির ঈদে বিক্রয় করার স্বপ্ন দেখছেন তারা।
রাজাবাবুর মালিক কৃষক সাবেক কাউন্সিলর জুলফিকার আলি ঢাকা মেইলকে বলেন, তিনি গত ১ বছর ধরে কালো ও সাদা চকড়াপকড়া রঙের একটি ষাড় লালন-পালন করছেন। শখ করে যার নাম রাখা হয়েছে রাজাবাবু। তিনি বলেন আমার রাজাবাবুকে দেখতে প্রতিদিন আমার বাড়িতে ভীড় করছেন গ্রাম ও দুর দুরান্ত থেকে দেখতে আসা দর্শনার্থীরা জানান, শুধু হাজারবিঘি গ্রামের নয় সমগ্র চাঁপাইনবাবগঞ্জে এতোবড় ষাড় চোখে পড়েনি। এটা যেন একটা ছোটখাটো সুড় ছাড়া হাতির মতো।
জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, বলেন রাজাবাবু জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় ষাড়। ষাড়টিকে বিক্রয়ের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পক্ষ থেকে।জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আরও বলেন জেলায় এ বছর রাজাবাবুর পাশাপাশি ১ লাখ ৭৭ হাজার গবাদি পশু ঈদকে সামনে রেখে খামারিরা লালন-পালন করছে।
প্রতিনিধি/ এজে

