বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ঢাকা

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাসহ এসআইয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২৩, ০৮:৫৭ এএম

শেয়ার করুন:

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাসহ এসআইয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রেশমা আক্তার (৪৩) নামে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা এবং সুমন কুমার দে (৪১) নামে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মোসা. মাহমুদা আক্তার বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।


বিজ্ঞাপন


মঙ্গলবার (১৩ জুন) রাতে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত।

তিনি বলেন, রেশমা আক্তার বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের ক্যাশ অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ তিনি দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। সেখানে ২৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকা অবৈধ উপার্জন করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়। এছাড়া ৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকার সম্পদ গোপন করেন। তার গ্রামের বাড়ি মিরসরাই উপজেলার ফকিরহাট এলাকায়। তিনি নগরের পাহাড়তলী দক্ষিণ কাট্টলী হালিশহর হাউজিং এস্টেট এলাকায় বসবাস করেন।

এদিকে, সুমন কুমার দে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায়। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালে সুমন দের সম্পদ অনুসন্ধানে নামে দুদক। ২০১৮ সালের মার্চে দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন এসআই সুমন দে।

সম্পদ বিবরণীতে সুমন নিজ নামে ৩৬ লাখ ৫৪ হাজার ২৭০ টাকার স্থাবর এবং ১৮ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭৯ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ সর্বমোট ৫৪ লাখ ৯২ হাজার ৬৪৯ টাকার সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন। এছাড়াও আয়কর নথি অনুযায়ী সুমন কুমার দে ৪ লাখ ৯২ হাজার ৮০ টাকা পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় করেছেন বলে উল্লেখ করেন। অর্থাৎ পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ তার মোট সম্পদ অর্জনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৯ লাখ ৮৪ হাজার ৭২৯ টাকা।


বিজ্ঞাপন


দুদক জানায়, সুমন কুমার ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর ডেল্টা ব্রাক হাউজিং ফাইন্যান্স করপোরেশন লিমিটেড (ডিবিএইচ) থেকে ১৫ লাখ টাকার ঋণ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩ হাজার ৭৮৯ টাকা এবং ২০১৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে ৩ হাজার ৮১৯ টাকা কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করেন তিনি। এছাড়াও তার নামে ১৪ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪৩ টাকার ঋণ থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।

অর্থাৎ সুমন কুমারের ৫৪ লাখ ৯২ হাজার ৬৪৯ টাকার সম্পদ অর্জনের বিপরীতে ঋণসহ সর্বমোট ৪২ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪৬ টাকার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায়। বাকি ১৬ লাখ ৯১ হাজার ৮৩ টাকা আয়ের উৎসের কোনো দালিলিক কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। এক্ষেত্রে সুমন কুমার ১৬ লাখ ৯১ হাজার ৮৩ টাকার সম্পদ তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণভাবে অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখেছেন বলে প্রতীয়মান হয়।

টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর