সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

৮ লাখে মিলবে ২০ মণের কালা তুফান

মো. হাবিবুর রহমান
প্রকাশিত: ১১ জুন ২০২৩, ১১:৫৮ এএম

শেয়ার করুন:

৮ লাখে মিলবে ২০ মণের কালা তুফান
ছবি: ঢাকা মেইল

কোরবানির ঈদ এলেই দেখা মেলে বাহারি নাম ও বিশাল আকৃতির গরুর। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। শান্ত প্রকৃতির ও কালো রঙয়ের হওয়ায় গরুটির নাম রাখা হয়েছে কালা তুফান। আসন্ন কোরবানির জন্য কালা তুফানকে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার মালিক মশিয়ার শেখ। যার কারণে গরুটিকে ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে।

কালা তুফানের মালিক মশিয়ার শেখ নড়াইলের জেলার লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের নখখালি গ্রামের বাসিন্দা।


বিজ্ঞাপন


কালা তুফানকে দেখতে আসা রাজু শেখ বলেন, আমি এর আগে এতো বড় ষাঁড় গরু দেখেনি। লোকমুখে শুনেছি তাই ষাঁড়টিকে দেখতে আসমলাম। অনেক ভালো লাগল। তবে বুঝতে পেরেছি খামারি অনেক কষ্ট করে ষাঁড়টিকে এতো বড় করেছে।

kala tufan

আরেক দর্শনার্থী শহিদুল ইসলাম জানান, আমি কোরবানির জন্য ষাঁড় কিনব। তবে এতো বড় ষাঁড় কেনার প্রস্তুতি এ বছর আমার নেই। কালা তুফান বিশাল আকারের হাতির মতো বড় দেখতে।

কালা তুফানকে দেখতে আসা দর্শনার্থী মুনতাসির রাফি বলেন, লোকমুখে জানতে পারি মশিয়ার রহমান নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে বড় একটি ষাঁড় গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করছে। পরে তার বাড়িতে ষাঁড় গরুটি দেখতে আসলাম। ষাঁড়টি বেশ বড়।


বিজ্ঞাপন


গরুর মালিক মশিয়ার শেখ বলেন, কালা তুফান গরুটির বয়স ৩ বছর। দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ৮ ফুট, উচ্চতা ৫ ফুট, ওজন প্রায় ১৮ থেকে ২০ মণ। আসন্ন কোরবানির ঈদে তাকে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

kala tufan

তিনি বলেন, ক্ষতিকর ও মোটাতাজাকরণের কোনোপ্রকার ওষুধ প্রয়োগ ছাড়াই দেশীয় প্রাকৃতিক খাবার বিছালি, ঘাস, খৈল, ভূষি, খুদির ভাত, কুড়া ইত্যাদি খাবার খাইয়ে বড় করা হয়েছে গরুটিকে। অতি আদর যত্নে লালন পালন করেছি কালা তুফানকে। কালা তুফানের প্রতি অনেক মায়াও তৈরি হয়েছে। বাড়িতে রেখেই তাকে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। তাকে বিক্রি করতে হবে এ কথা ভেবেই চোখে জল চলে আসছে।

গরুটির মালিকের দাবি এই এলাকার মধ্যে কালা তুফান সবচেয়ে বড় গরু। বিশাল দেহের অধিকারী হওয়ায় প্রতিদিন কালা তুফানকে দেখতে অনেকেই ভিড় করছেন। মাঝে মধ্যে গরু ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতারা আসছেন গরুটি কিনতে। গরুটির দাম হাঁকিয়েছেন ৮ লাখ টাকা। কাঙ্ক্ষিত দাম পেলেই বিক্রি করতে চান কালা তুফানকে।

এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. লেলিন প্রধান বলেন, লোহাগড়া প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে খামারিদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে। আশা করছি, এবার ঈদুল আজহায় খামারিরা গরুর ভাল দাম পাবেন।

টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর