শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বিদ্যুতের কষ্টটা সবাই পাচ্ছি: মমতাজ

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৭ জুন ২০২৩, ০৩:০৯ পিএম

শেয়ার করুন:

বিদ্যুতের কষ্টটা সবাই পাচ্ছি: মমতাজ

মানিকগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী-লীগের সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম বলেছেন বিদ্যুতের কষ্টটা আমরা সবাই পাচ্ছি। সবার ঘরেই আজকে এ সমস্যা আছে।

সারাদেশে চলমান লোডশেডিংয়ে সংসদে দেওয়া তাঁর পূর্বের কিছু বক্তব্য নিয়ে ট্রল করার করার সূত্র ধরে ফেসবুক লাইবে এসে এই মন্তব্য করেছেন মমতাজ। মঙ্গলবার (৬ জুন) দিবাগত রাত ১টার দিকে তার নিজের ফেসবুকে পেজে এই লাইভ প্রচার হয়। 


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, সারাদেশের মানুষ বিদ্যুৎ কম পাওয়ার কারণে সাময়িক কষ্টের মধ্যে পড়েছে। আর এই বিদ্যুৎ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবে নানা ধরনের কথা আলোচনা সমালোচনা ও প্রোপাগন্ডা চালানো হচ্ছে আমাকে নিয়ে।

তিনি বলেন, যেহেতু আমি এমপি, আমার এলাকায় কী কী কাজ করেছি কী কাজ করা বাকি আছে, সেগুলো বলার একটি জায়গা হলো সংসদ। সংসদে আমি অনেক বক্তব্য দিই। তার দু-একটি কথা ধরে অনেকেই এটার সমালোচনার ঝড় তুলেছেন এই কষ্টের মধ্যে। কারণ বিদ্যুৎ থাকছে না। বিদ্যুতের কষ্টটা সবাই পাচ্চি, সেটা কম-বেশি। সবার ঘরেই আজকে এ সমস্যা আছে।

তবে মমতাজ বলেন, এটা সাময়িক সমস্যা। আপনারা জানেন বিশ্বের কী অবস্থা। কিছু দিন আগে করোনা মহামারি গেল। তার পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আমাদের অনেক ক্ষতির মধ্যে ফেলেছে। বড় বড় দেশও হিমশিম খাচ্ছে। বাংলাদেশ তো ছোট্ট একটি দেশ। সেখানে সরকার চেষ্টা করছেন, আমরাও চেষ্টা করছি। এই সমস্যাটাও আমরা ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করে আগামীতে বিদ্যুতের একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে পারবো বলে জানান।  

জাতীয় সংসদে বিদ্যুৎখাতে সরকারের সাফল্য তুলে ধরে আাগের দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে মমতাজ বলেন, হ্যাঁ আমি কেন বলেছিলাম সংসদে তা আপনারা জানেন, এটা তো মিথ্যা কথা নয়, বিদ্যুৎ যে হারে সরকার উৎপাদন করেছে, ঘরে ঘরে লাইন দিয়েছে। সত্যিকার অর্থে সরকার প্রশংসা কুড়িয়েছেন। সেই প্রশংসা আমিও করেছি।


বিজ্ঞাপন


এমপি মমতাজ বেগম তার নির্বাচনিয় এলাকার বিষয়ে বলেন, আমার নির্বাচনি এলাকায় ৩০ শতাংশ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ ছিল। আমি নির্বাচিত হয়ে শতভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি। এক সময় গ্রামের মা বোনেরা এসে বলতেন আপা, চিছু চাই না। আমাদের বিদ্যুত লাইন দেন, মিটার দেন। মিটারের অভাবে বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। এই যে একটা সংকট ছিল, সেটা কিন্তু আমরা সমাধান করেছি। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। মানুষ খুশি  হয়েছেন। সে জন্য সংসদে বলেছিলাম মানুষ বিদ্যুৎ চাইত। একসময় এ চাওয়ার ব্যাপারটা আর থাকবে না। সরকার যেভাবে বিদ্যুতের লাইন দিচ্ছে, উৎপাদন করছে, ঘরে ঘরে মিটার পৌঁছে দিচ্ছে। এখন কিন্তু সত্যিকার অর্থে গ্রামে গেলে কেউ বলে না, আপা মিটার দেন। মিটার দেওয়ার জায়গা খুঁজে পাওয়া যায় নাই। এটাই কিন্তু বাস্তবতা ছিল। আর সেই কথাটাই আমি সংসদে বলেছিলাম।

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর