শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

থানা অভ্যন্তরে কাউন্সিলর প্রার্থীকে হত্যার হুমকির অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৭ জুন ২০২৩, ০৯:০২ এএম

শেয়ার করুন:

থানা অভ্যন্তরে কাউন্সিলর প্রার্থীকে হত্যার হুমকির অভিযোগ

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার হোসেন রয়েলকে থানা কম্পাউন্ডে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ভুলুর বিরুদ্ধে।

বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার অভ্যন্তরে মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।


বিজ্ঞাপন


এ বিষয়ে রাতে বরিশাল সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছেন রয়েল।

কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, অপারেশন) বিপ্লব মিস্ত্রি  বিষয়টি নিশ্চিত করেছন।

তিনি বলেন, রয়েল এলাকার একটি ঘটনা নিয়ে থানায় এসেছিলেন। তখন অন্য একটি গ্রুপ চলে আসলে দুই পক্ষের তর্কবিতর্ক হয়। তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। এ ঘটনায় রয়েল আমাদের অনুমতি সাপেক্ষে রিটার্নিং অফিসার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন।

১২ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ঘুড়ি প্রতীকের আনোয়ার হোসেন রয়েল জানান, তার সমর্থক মোজাম্মেল হোসেন সকাল ১১টার দিকে বাচ্চা নিয়ে স্কুলে যান। আমতলা মোড়ে ফার্মেসিতে জাকির হোসেন ভুলুর ঠেলাগাড়ি প্রতীকের সমর্থক মামুনের দেখা হয় মোজাম্মেল হোসেনের।


বিজ্ঞাপন


তখন মোজাম্মেল হোসেনকে মামুন বলেন, ‘আজকের (মঙ্গলবার) মধ্যে যদি ঠেলাগাড়িতে যোগ না দেও, তাহলে বাসা থেকে ধরে নিয়ে দা দিয়ে কোপাবো’। আমি (রয়েল) ঘটনা শুনে সেখানে যাই। মামুন তার আগেই ওখান থেকে চলে যায়। এই খবর ছড়িয়ে পরলে আমার কর্মীসমর্থকরা জড়ো হন। তারপর টহলরত পুলিশের সহায়তায় কোতয়ালি মডেল অভিযোগ দিতে মোজাম্মেল হোসেনসহ নেতাকর্মীকে নিয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে থানায় যাই। থানায় ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ২০/২৫টি মোটরসাইকেল থানা চত্বরে ঢোকে। মোজাম্মেল হোসেনকে কাউন্সিলর প্রার্থী ভুলু ও তার কর্মী মিলন তালুকদার হুমকি দিয়ে থানা থেকে বের হয়ে যেতে বলে। তারপর আমাদের উদ্দেশ্য করে অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করেন। এসময় ভুলু আমাকে (রয়েল) প্রাণনাশের হুমকি দেন। তখন ওসি তদন্ত বিপ্লব মিস্ত্রি উপস্থিত ছিলেন। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ। থানায় অভিযোগ না দিয়ে আমরা বাসায় ফিরে যাই। বিকেলে নগরীর আরমান খান সড়কের সামনে আমার (রয়েল) সমর্থক আলামিনের মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে ভুলুর লোকজন। এই ভাঙচুরে অংশ নেন, আজাদ তালুকদার, মিলন তালুকদার, শাহ আলম, রুবেল, মুন, নিবির, ফয়সালসহ ৩০/৪০ জন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

১২ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও ঠেলাগাড়ি প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী জাকির হোসেন ভুলু জানান, আমি থানা থেকে বের হওয়ার সময় রয়েলের সমর্থক আলামিন আমাকে গালাগালি করে। তখন পিছনের কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। ওইখানে কর্মীরা উচ্চবাচ্য করছে। আমি কর্মীদের নিয়ে আসছি। তারা নিজেরা নিজেরা মারামারি করে আমাদের ওপর দায় চাপাচ্ছে। বিভিন্ন রকম অভিযোগ ছড়াচ্ছে। এই অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন।

টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর