শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণে বাঁচল ঝিনাইদহের দম্পতি

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৩ জুন ২০২৩, ১১:২৯ পিএম

শেয়ার করুন:

ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণে বাঁচল ঝিনাইদহের দম্পতি

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় উড়িষ্যা রাজ্যের বালাসোরে তিন ট্রেনের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় কয়েকজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২ জুন) শালিমার স্টেশন থেকে করমন্ডল ট্রেনে করে চিকিৎসার জন্য ভেলর যান বাংলাদেশি স্বামী-স্ত্রী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা যখন উড়িষ্যার বালাসোর জেলার বাহানাগাঁ এলাকায় পৌঁছান, তখন দুর্ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনই সুস্থ আছেন।

জানা যায়, ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়া ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কাজিরবেড় ইউনিয়নের পাকড়াইল গ্রামের মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে ও মহেশপুর সরকারি পদ্মপুকুর শেখ হাসিনা ডিগ্রি কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারি শিক্ষক মোঃ আক্তারুজ্জামান ও তার স্ত্রী মোছাঃ নূর জাহান। স্ত্রী নূর জাহানের চোখের সমস্যা নিয়ে বৃহস্পতিবার (১ জুন) সকালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যান তারা।


বিজ্ঞাপন


মোঃ আক্তারুজ্জামানের বড় ছেলে অনিক রহমান নূর বলেন, মায়ের চোখের সমস্যা নিয়ে বেশ কয়েকবার ভারতে চিকিৎসা করিয়েছেন তার বাবা। এবার সিদ্ধান্ত নেন ভেলর গিয়ে চিকিৎসা করাবেন। বৃহস্পতিবার সকালে (১ জুন) তারা ভারতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।

তিনি আরও বলেন, আমার বাবা-মা ভালো আছেন । তারা সহি-সালামতে আছেন । বাবা বলেছেন, সর্বোশক্তিমান তাদের বাঁচিয়েছেন। দুর্ঘটনার পর বাবার সাথে বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে। বাবা বলেছে শুক্রবার (২ জুন) দুপুরে ট্রেনের টিকিট নিয়ে শালিমার স্টেশন থেকে করমন্ডল ট্রেনটি করে ভেলরের উদ্দেশ্যে রওনা করেন। এরপর সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা যখন উড়িষ্যার বালেশ্বর জেলার বাহানাগাঁ এলাকায় পৌঁছান, তখন ট্রেনটির দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেনের মধ্যে থাকা হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। তারা পিছনের বগিতে থাকায় তাদের তেমন কোন সমস্যা হয়নি।

আরও বলেন, দুর্ঘটনার পর তাদের উদ্ধার করে, পরে সুস্থ আছে কি না পরীক্ষা করার পর বাসে করে ২'শ কিলোমিটার দূরে ভুবনেশ্বর স্টেশন থেকে পন্ডিশ্রী নামে আরেকটি ট্রেনে উঠিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কাল রোববার সকালে ভেলরে গিয়ে পৌঁছাবে তারা। ঐদিন বাবা এবং মা এসি বগিতে ছিল, তাদের সামনে ছিল আরও কয়েকটি বগি থাকাই তাদের কোন সমস্যা হয়নি।

মহেশপুর সরকারি পদ্মপুকুর শেখ হাসিনা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আক্তারুজ্জামান স্ত্রীকে চিকিৎসা করতে ভারতে যাওয়ার জন্য পাঁচ দিনের ছুটি নিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনার খবর শুনে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করি তিনিও ওই দুর্ঘটনায় পড়েছে কি না। তখন জানতে পারি তিনি এবং তার স্ত্রী দুজনই দুর্ঘটনায় কবলিত ওই ট্রেনেই ছিলেন তবে সুস্থ আছেন। পরে আমিও তাদের সাথে কথা বলেছি তারা এখন অন্য ট্রেনে করে ভেলরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছে।


বিজ্ঞাপন


প্রতিনিধি/আরআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর