জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শফিউল ইসলাম নামের এক ইরাক প্রবাসীর স্ত্রী তাহমিনা বেগম পরকীয়া প্রেমের টানে উধাও হয়েছেন।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ছাপরহাটি ইউনিয়নের দক্ষিণ মরুয়াদহ গ্রামে।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের জহরুলের মোড় গ্রামের ফরিজল মিয়ার মেয়ে তাহমিনা তার বাবার বাড়ি থেকে উধাও হয়। এ ঘটনার কয়েকদিনও তার খোঁজ পায়নি স্বজনরা।
শফিউলের বন্ধু আঙ্গুর মিয়ার সঙ্গে ঘর বাধাঁর স্বপ্নে পাড়ি জমিয়েছে বলে এলাবাসী জানায়। ঘটনার ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও খোঁজ মেলেনি গৃহবধূর।
ওই গ্রামের আব্দুল হামিদ আলীর ছেলে শফিউল ইসলামের স্ত্রী তাহমিনা বেগম। আর প্রেমিক আঙ্গুর মিয়া একই গ্রামের মৃত ফরলার রহমানের ছেলে।
এ ঘটনায় শফিউল ইসলামের বড় ভাই হাবিবুর রহমান থানায় তাহমিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় ও দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শফিউল ইসলামের সঙ্গে ১১ বছর আগে তাহমিনার বিয়ে হয়। তাদের সংসার জীবনে ৬ বছরের একটি মেয়ে আছে। বিয়ের ৭ বছর পর স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে শফিউল ইসলাম ইরাক চলে যায়। এই সুযোগে তাহমিনা বেগম তার স্বামীর বন্ধু আঙ্গুর মিয়ার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এরপর পরকীয়া প্রেমিক আঙ্গুর মিয়ার সঙ্গে পালিয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তাহমিনার বাবা ফরিজল হক বলেন, আঙ্গুরের সঙ্গে এক বছর ধরে এই ঘটনা জানতে পেরে আমার মেয়েকে অনেক বুঝিয়েছি। কিন্তু এই বুঝ না মেনে আমার বাড়ি থেকে সেই ছেলের হাত ধরে পালিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আঙ্গুর মিয়ার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের কারও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে প্রবাসী শফিউল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার স্ত্রী তাগমিনা বেগম গত দু’বছর আগে জমি কেনার কথা বলে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা তার কাছ থেকে নিয়েছে। তার সংসার জীবন ১১ বছরে কখনও ভাবেনি তার স্ত্রী এমন কাজ করবে। তবে আঙ্গুর তার ছোট বেলার বন্ধু হয়ে এতো বড় ক্ষতি করবে সেটিও কখনও ভাবেনি।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে আমার বড় ভাই হাবিবুর রহমান থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
সুন্দগেঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিনিধি/এসএস

