ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর দুমকি, বাউফল, দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলা রুটে সরাসরি বাস চলাচলের দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুরে পটুয়াখালী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. জালাল আহাম্মেদ।
বিজ্ঞাপন
লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানানো হয় বিগত এক বছর আগেও ঢাকা থেকে বাউফল, দশমিনা ও গলাচিপা রুটে নিয়মিত বাস চলাচল করত। পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে রুট পারমিট নেই বলে এসব রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় পটুয়াখালী ও বরিশাল বাস মিনিবাস মালিক সমিতির স্বার্থান্বেষী মহল। দীর্ঘ এক বছর ধরে এসব রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিকল্প যানবাহনে যাতায়াতে যাত্রীদের বেশী ভাড়া প্রদান, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের কবলে পড়া সহ নানা ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বি আর টিএ থেকে জেলা সদর ছাড়া অন্য কোনো উপজেলায় রুট পারমিট দেওয়া হয় না বলেই মালিক সমিতি সুযোগ নিচ্ছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রত্যেক উপজেলার সাথে রাজধানীর রুট পারমিট প্রদান করে জনসাধারণের ভোগান্তি লাঘবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগীরা।
আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ সমস্যার সমাধান না হলে অনশন সহ বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা করেন তারা।
বিজ্ঞাপন
পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন চার উপজেলার ভুক্তভোগী মানুষেরা। মানববন্ধন শেষে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এসময় দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহামুদ লিটন সহ চার উপজেলার ৫ শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে পটুয়াখালী জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন মৃধা বলেন, ওখানে রুট পারমিট নাই। রুট পারমিট ছাড়া গাড়ি ওখানে কিভাবে যায় বলেন? রুট পারমিট নাই তাই মালিক সমিতি ও প্রশাসন ওখানে গাড়ি যেতে দেয় না।
তিনি আরও বলেন, লিটন চেয়ারম্যান ভাড়াটে কিছু লোক নিয়া এইসব মানব বন্ধন, সংবাদ সম্মেলন করছে নিজের স্বার্থের জন্য। উনি ঢাকা থেকে কিছু গাড়ি ভাড়া নিয়া চেয়ারম্যান পরিবহন নামে চালাচ্ছেন সেখান থেকে প্রতিদিন গাড়ি প্রতি টাকা নিচ্ছেন। এখন ওই রুটে গাড়ি চললে তার বেনিফিট হয় তাই তিনি এমন করছেন। রুট পারমিট এনে গাড়ি চালালে কেউ কিছু বলবে না।
প্রতিনিধি/ এজে
