শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ হাতপাখার প্রার্থীর বিরুদ্ধে

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০১ জুন ২০২৩, ০৮:৫৮ পিএম

শেয়ার করুন:

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ হাতপাখার প্রার্থীর বিরুদ্ধে

উস্কানিমূলক প্রচারণা চালানো ও নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের বিরুদ্ধে

বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর হাতপাখার প্রার্থীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনেন হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান। 


বিজ্ঞাপন


বিষয়টি রাতে ঢাকা মেইলকে নিশ্চিত করেছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে ডেকে সতর্ক করা হয়েছে।

লিখিত অভিযোগে মেয়র প্রার্থী মো. আসাদ্দুজ্জামান উল্লেখ করেন, হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম তার শতাধিক প্রচার মাইকে গান বাজিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে প্রচার অভিযান পরিচালনা করছে। এ কারণে মেয়র প্রার্থী হিসেবে তিনি মনে করেন, এই ঘটনা ভোটারদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করছে। যা তার (আসাদুজ্জামান) নির্বাচনে বিরূপ প্রভাব বিস্তার করছে।

লিখিত অভিযোগে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত-সংক্রান্ত তিনটি স্লোগানের কথা উল্লেখ করে তিনি লিখেন, ‘এবার যেখানে সেখানে ভোট দেবেন না ভাই’, ‘হাতপাখায় ভোট দিলে আল্লাহ রসুল পায়’ ও ‘হাতপাখাতে ভোট দিলে ভাই আল্লাহ খুশি হয়, রসুল খুশি হয়’। 

অভিযোগ দাখিল শেষে মেয়র প্রার্থী মো. আসাদ্দুজ্জামান ঢাকা মেইলকে বলেন, সিটি নির্বাচনে সাতজন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। সবাই প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। কিন্তু হাতপাখার প্রতীকের প্রার্থী প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন ভিন্নভাবে। বিষয়টি ধর্মপ্রাণ জনসাধারণের কাছে ভালো লাগেনি। এছাড়া আমার একাধিক কর্মী সমর্থক বিষয়টি নিয়ে বলেছেন।


বিজ্ঞাপন


হাতি প্রতীকের মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও এই দেশে হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৈদ্ধসহ আরও অনেক ধর্ম এবং জাতির মানুষ রয়েছেন। প্রচারেই তিনি বলে দিচ্ছেন, যে মুসলমান ছাড়া কারও ভোট তাদের দরকার নেই। এর মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতা ছড়াচ্ছেন তিনি। আবার তারাই বলছেন, ‘যাকে তাকে ভোট দেবেন না ভাই’। তাহলে আমরা যারা নির্বাচনী বিধি মেনে বৈধ প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি তাদের অবস্থানটা কী দাঁড়াচ্ছে। এই ঘটনা আমাদের জন্য মানহানিকর। যা নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন করার শামিল। তাই এই প্রচারণা বন্ধ রাখতে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েছি। 

এ বিষয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, আমি নিজেই একজন ধর্মীয় লোক। আমার দাড়ি-টুপি, পোশাক, কলেমা, নামাজ, আচরণ ও কৃষ্টিকালচার সবই ধর্মীয়। যারা ধর্ম পালন করে না, তারা তো আমাকে ধর্মীয় হিসেবেই দেখবে। কিন্তু আমি তাদের বলছি, নির্দিষ্ট করে বলতে হবে সেই ধর্মীয় উস্কানিটা কি দিয়েছি।

সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, আমি খ্রিস্টান ও হিন্দুসহ সবার কাছে গিয়েছি। হিন্দুরা আমার জন্য কাজও করছে। আমি যদি ধর্মীয় উস্কানি দিতাম, তাহলে তারা আমার জন্য কেন কাজ করবে? বরং আমরা ধর্মীয় সহ-অবস্থান সৃষ্টি করতে চাই। ধর্মীয় সহ-অবস্থান সৃষ্টি করতে পারব- এই বিশ্বাস আছে বলেই তারা (অন্য ধর্মাবলম্বীরা) আমার পক্ষে কাজ করছে। আসলে ব্যাপারটা হলো হাতপাখার গণজোয়ার দেখে তারা ঈর্ষান্বিত।

উল্লেখ্য, আগামী ১২ জুন নগরীর ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৫৮ বর্গকিলোমিটারের এই নগরীতে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। তাদের মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন। এছাড়া পুরুষ ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন।

প্রতিনিধি/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর