মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

কবিরাজের কাছে নেওয়ার কথা বলে নারীকে গণধর্ষণ: গ্রেফতার ৫

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২৩, ০২:৪৭ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

জেলার কানাইঘাট উপজেলায় ৯ মাসের শিশু সন্তানকে চিকিৎসার জন্য কবিরাজের সন্ধান দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে মাকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (২৮ মে) রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।


বিজ্ঞাপন


গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার নন্দিরাই গ্রামের দুদু মিয়া (৩৬), বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামের হেলাল আহমদ (৩৮), বড়দেশ সরদারীপাড়া গ্রামের ফরহাদ (৩৫), বীরদল আগফৌদ গ্রামের আব্দুল করিম ও বীরদল ছোটফৌদ গ্রামের জুবের আহমদ (২৪)।

এজাহারে ঘটনার বর্ণনায় বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীর বাড়ি কানাইঘাট উপজেলায়। বর্তমানে শ্বশুরবাড়ি বিয়ানীবাজার উপজেলায় বসবাস করেন। ২০ দিন আগে গ্রেফতার আসামি দুদু মিয়ার সঙ্গে কানাইঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভুক্তভোগীর পরিচয় হয়। সেই সুবাদে দুদু মিয়ার সঙ্গে ওই নারীর প্রায়ই ফোনে কথাবার্তা হতো।

ভুক্তভোগীর ৯ মাসের শিশু কন্যা অসুস্থ হলে দুদু মিয়া তাকে পার্শ্ববর্তী জকিগঞ্জ উপজেলার ফুটিজুরি গ্রামের এক কবিরাজের কাছে নিয়ে যেতে বলেন। পরবর্তীতে মেয়ের চিকিৎসার নাম করে রোববার বেলা ৩টার দিকে বিয়ানীবাজারে গিয়ে দুদু মিয়া ওই নারীকে শিশু সন্তানসহ তার বাড়ি থেকে নিয়ে যায়।

কিন্তু কবিরাজের কাছে না নিয়ে কৌশলে ফুসলিয়ে দুদু মিয়া কানাইঘাটের বীরদল বাজার এলাকায় ওই নারীকে নিয়ে ঘুরতে থাকে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বীরদল বাজারে থাকা লোকজনের সন্দেহ হয়। এতে দুদু মিয়ার ফোনে তার সহযোগী আব্দুল করিম বীরদল বাজারে চলে আসে এবং তারা ওই নারীকে কৌশলে মোটরসাইকেলযোগে বীরদল খালোমুরা বাজারে নিয়ে যায়।


বিজ্ঞাপন


এতে স্থানীয় কিছু লোকজনের সন্দেহ হলে তাদের আটক করেন। পরে রাত ১১টার দিকে স্থানীয় লোকজন কানাইঘাট বাজারে নিরাপদে নিয়ে যাওয়ার জন্য জুবের আহমদের রিকশায় তুলে দেওয়া হয়। এসময় ভিকটিমের পিছু নেয় দুদু মিয়া ও আব্দুল করিম। এক পর্যায় পুরানফৌদ কবরস্থানের সামনে ভিকটিমের রিকশা আসা মাত্রই হেলাল আহমদ ও ফরহাদ আহমদ রিকশার গতিরোধ করে এবং তাকে পুরানফৌদ গ্রামের হাবিব আলীর নির্জন পুকুরঘাটে নিয়ে যায়।

সেখানে হেলাল ও ফরহাদ ওই নারীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এতে ভিকটিমের প্রচুর রক্তপাত হয়। তখন দলবেঁধে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতরা পালিয়ে গেলে ধর্ষিতার আর্তচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, রোববার রাত ১১টার দিকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে, সোমবার দিনভর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ওই নারীকে পুলিশ হেফাজতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।

ওসি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিরা জানায়, ধর্ষণে সরাসরি জড়িত হেলাল আহমদ ও ফরহাদ আহমদ। গ্রেফতার অন্য আসামিরা ধর্ষণে সহায়তা ও ধর্ষিতাকে ফুসলিয়ে অপহরণে জড়িত।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর