শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

বরিশালে মেয়র প্রতিমন্ত্রী অনুসারীদের সংঘর্ষ, আহত ২০

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪ এপ্রিল ২০২২, ১১:১৯ এএম

শেয়ার করুন:

বরিশালে মেয়র প্রতিমন্ত্রী অনুসারীদের সংঘর্ষ, আহত ২০
ছবি : ঢাকা মেইল

বরিশাল নগরীর রূপাতলী মিনিবাস টার্মিনালের দখল নিয়ে সদর আসনের সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের অনুসারীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে মেয়রপন্থীদের বিরুদ্ধে। এতে প্রতিমন্ত্রীর অনুসারীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 

রোববার (৩ এপ্রিল) দুপুরের দিকে নগরীর রূপতলী মিনিবাস টার্মিনালে মেয়রপন্থী ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিকলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার এ অভিযোগ উঠে।


বিজ্ঞাপন


আহতরা হলেন, প্রতিমন্ত্রীর অনুসারী জেলার বাস-মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সুলতান মাহমুদ, মো. রফিকুল ইসলাম মানিক, রিজন হাওলাদার, শামিম হাওলাদার, বিপ্লব হাওলাদার, সালাম, মিজান, শাওন ও ফারুকসহ আরও ৮ থেকে ১০ জন। 

আহত সুলতান মাহমুদ বলেন, আমি শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসে বসা ছিলাম। হঠাৎ মেয়র অনুসারী মান্না, সাজ্জাদ, মুনিম ও রাজিবসহ দুইশতাধিক নেতাকর্মী সশস্ত্র আমার ওপর হামলা চালায়। এতে আমি এবং আমার ভাই ভাতিজাসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হই। 

অভিযোগ করে তিনি বলেন, তারা মেয়রের কথায় আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। আমার অফিস ভাংচুর করেছে। তিনি বলেন, পাশে অগ্রণী ব্যাংক আছে। সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই হামলাকারীদের শনাক্ত করা যাবে। 

সুলতান মাহমুদ বলেন, গুরুতর আহত হওয়া সত্ত্বেও আমরা কেউ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারিনি। হাসপাতালে ভর্তি হলে তারা আবারও হামলা চালিয়ে প্রাণে মারতে পারে। তাই সবাই বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছি। তিনি অভিযোগ করেন— ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও তারা এগিয়ে আসেনি। 


বিজ্ঞাপন


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত কয়েকদিন ধরেই মেয়র অনুসারীরা টার্মিনালে দফায় দফায় মহড়া দেয়। রোববার হঠাৎ করেই তারা কয়েকজনের ওপর হামলা চালায়। এসময় তারা কয়েকজনকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। পরে সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে পুরো টার্মিনাল এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে মেয়র অনুসারীরা। তাদের মধ্যে একজন পরিমল চন্দ্র দাস। তিনি জেলা বাস-মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি। তিনি বলেন, আমি জীবনে কারও গায়ে হাত তুলিনি। কাউকে একটা থাপ্পরও দেইনি। আমরা শ্রমিকদের নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করে টার্মিনালে অবস্থান নেই। উল্টা সুলতান মাহমুদের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে বিপু সিকদার ও কামাল নামে আমাদের দুই কর্মী আহত হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা আশ্রয় নেব। 

এদিকে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত জাহিদ ফারুক শামীমের অনুসারীদের হটিয়ে সোমবার (৪ এপ্রিল) রূপাতলী টার্মিনাল দখলে নিয়েছে মেয়রের অনুসারীরা। বর্তমানে মেয়র অনুসারী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ও তার কর্মীরা সেখানে অবস্থান করছেন।

রূপাতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় হামলার খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এনামুল হক। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। ফলে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। হামলার ঘটনায় তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধী যেই হোক অপরাধ প্রমাণিত হলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর