শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

সাত বছরেও নির্মাণ হলো না খাটুরা বাওড়ের ঘাট!

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২৩, ০৮:১০ পিএম

শেয়ার করুন:

সাত বছরেও নির্মাণ হলো না খাটুরা বাওড়ের ঘাট!

‘কয় বছর ধইরে থুম্বোকল গ্যাথে থুইয়েছে, তা আর কেউ সইওর (ঠিক) এরলো না’। পথেই এইডা করা নইয়েছে, তাতি কইরে বাওড়ে নামতি আমাগের ভোগান্তি হয়। আর ভরা বর্ষাকালে তা পাড় থেইকে দূরে থাহাই, বাওড়ের পানতি নামতি আরও কষ্ট হয়। আর ওই থুম্বোকলের মাথায় নোহা (লোহার রড) বাইর করা থাহাই সলির ভইয়ে থাকতি হয়।’

ক্ষোভ করে কথাগুলো বলছিলেন যশোরের মণিরামপুর উপজেলার দশআনি গ্রামের বয়োবৃদ্ধা জোহরা বেগম। শুধু জোহরা নন, ঘাট দিয়ে বাওড়ে নামা দশআনি ও বড় চেৎলা গ্রামের একাধিক নারী-পুরুষ একই ক্ষোভের কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


প্রায় সাত বছরেও যশোর জেলা পরিষদের অর্থায়নে মনিরামপুরের খাটুরা বাওড়ের ঘাট (সিঁড়িযুক্ত) অসমাপ্ত নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়নি। আজও সমাপ্ত না হওয়ায় ঘাটটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে।

অকেজো ঘাটের অগ্রভাগে প্রায় দুই থেকে তিন ফুট লোহার রড উন্মুক্ত রয়েছে। যে কারণে ঘাটটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আজ তা গ্রামবাসির গলা কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে ধরনা দিলেও কার্যত সাড়া মেলেনি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর।   

সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে জেলা পরিষদের বরাদ্দে উপজেলার খাটুরা বাওড় সংলগ্ন দশআনি ও বড় চেৎলা গ্রামের বাসিন্দাদের গোসলের সুবিধার্থে ঘাট নির্মাণ কাজ হয়। এই ঘাট দিয়ে বাওড় সংলগ্ন দশআনি ও বড় চেৎলা এই দুই গ্রামের কয়েকশ’ নারী-পুরুষ প্রতিদিন বাওড়ে স্নান- কাজসহ রান্নার পানি সংগ্রহ করেন। তাদের সুবিধার্থেই ঘাটটি নির্মিত হচ্ছিল। কিন্তু প্রায় সাত বছর পেরিয়ে গেলেও আজ অবধি নির্মাণ কাজটি অসমাপ্ত রয়ে গেছে। এ নিয়ে গ্রামবাসীর ক্ষোভও রয়েছে।

Jashore


বিজ্ঞাপন


সরেজমিন গেলে দেখা যায় বাওড়ের পাড় থেকে প্রায় ৫০ গজ দূরে অসমাপ্ত ঘাটটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এটি গ্রামবাসীর সুবিধার্থে নির্মাণ করা হলেও সেটি এখন ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার বলেন, ঘাটের কাজ শেষ করতে সংশ্লিষ্টদের কাছে ধরনা দিলেও কোনো ফল মেলেনি।

জেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচিত সদস্য (সাবেক) রুখসানা ইয়াসমিন পান্না বলেন, নির্বাচনের আগেই জেলা পরিষদের বরাদ্দে ঘাট নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পরে বরাদ্দের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন বলে তিনি দাবি করেন।

জেলা পরিষদের প্রধান প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামান বলেন, মাত্র দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, সেই টাকাই কাজ হয়েছে। পরবর্তী বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজ আর হয়নি।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, তিনি তখন ছিলেন না, যে কারণে তার এ সম্পর্কে জানা নেই।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর