দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমদানিকারক ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের মধ্যে তুলকালাম চলছে। আমদানি করা এক ট্রাক পেঁয়াজের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় পেঁয়াজের ওই ট্রাক জব্দ করেছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার (৯ মে) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
গত ১৫ মার্চ এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সর্বশেষ পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। আমদানির অনুমতিপত্রের (আইপি) মেয়াদ শেষ হওয়ায় বর্তমানে পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ আছে।
বিজ্ঞাপন
হিলি স্থলবন্দরের পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সোয়া ৫টার দিকে মিডলাইফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নামে হিলির যমুনা ট্রেডিং করপোরেশনের মাধ্যমে ভারত থেকে ২৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকার পরও কীভাবে স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হলো এবং পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির আদৌ অনুমতিপত্র আছে কি না, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশন ও উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি যাচাই-বাছাই করছে।
হিলি স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার বায়েজিদ হোসেন বলেন, পেঁয়াজ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি শিল্পভোক্তা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহারের জন্য এই পেঁয়াজ আমদানি করেছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি পেঁয়াজগুলো বাজারে বিক্রি করবে না। পেঁয়াজ আমদানির জন্য প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) অনুমতি নিয়েই ব্যাংক থেকে এলসি খুলেছে।
হিলি স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এবং যমুনা ট্রেডিং করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী অনিক সরকার বলেন, খাদ্যজাত পণ্য রপ্তানিকারক একটি প্রতিষ্ঠান আজ হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করেছে। খাদ্য তৈরির উপকরণ হিসেবে পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ আছে। আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি করতে পারবে না শুল্ক স্টেশনে এমন অঙ্গীকারনামা দিলে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি পণ্য খালাসের অনুমতি পাবে।
স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের সহকারী সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির খবর পেয়ে বন্দর চত্বরে গিয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র যাচাই করা হয়। কৃষিপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে যে অনুমতিপত্র থাকার কথা তারা সেগুলো দেখাতে পারেননি। এ জন্য পেঁয়াজের ট্রাকটি বন্দর চত্বরে জব্দ করা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি পেঁয়াজ আমদানির বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারলে বন্দর থেকে পণ্য খালাসের অনুমতি দেওয়া হবে।