সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের শালদাইর গ্রামে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোবর মেলে দেয়াকে কেন্দ্র করে দু‘পক্ষের হামলা সংঘর্ষের সময় ভাতিজা মনিরুল ইসলামের (৩৫) ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চাচা সাইফুল ইসলাম (৫৫) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ২জন আহত হয়েছে। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) ভোর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত সাইফুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত তাজেল প্রামানিকের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
আহতরা হলেন, নিহতের স্ত্রী জ্যোস্না বেগম (৫০) ও মেয়ে বেলি খাতুন (২৫)।
এ বিষয়ে নিহতের স্ত্রী জ্যোস্না বেগম জানান, গত মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে গরুর গোবর মেলে দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর জের ধরে ভাতিজা মনিরুল ইসলাম, তার মামা জয়ান ও তার সহযোগীরা আমাকে বেধরক মারপিট করে চলে যায়। এরপর এ দিন বিকালে তারা দ্বিতীয় দফা আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমার মেয়ে বেলি খাতুন ও স্বামী সাইফুল ইসলামকে মারপিট করে আহত করে। এরপর এ দিন সন্ধ্যায় তৃতীয় দফা মনিরুলের নের্তৃত্বে তার মামা জয়ান, ছেলে আনিসুর, বোন জামাই আল আমিনসহ ১০/১২ জন ধারালো অন্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমার স্বামীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারিভাবে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ও লাঠিসোটা দিয়ে বেধরক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে চলে যায়। মূমুর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা গুরুতর দেখে চিকিৎসক তাকে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে তার অবস্থার আরও অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর রাতে তার মৃত্যু হয়। এ হত্যার ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিহতের স্বজনদের আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানা ওসি আসলাম হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে এখনও নিহতের লাশ এসে পৌছায়নি। এলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/ এজে