সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ক্রেতাশূন্য থান কাপড়ের দোকান, দোকানিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ

পুলক পুরকায়স্থ
প্রকাশিত: ০৬ এপ্রিল ২০২৩, ০২:৫৬ পিএম

শেয়ার করুন:

ক্রেতাশূন্য থান কাপড়ের দোকান, দোকানিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ
ছবি: ঢাকা মেইল

কয়েকদিন পরেই ঈদ। প্রতিবছর প্রথম রোজা থেকেই থান কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের সমাগম থাকে। তবে এ বছর ১৪ রোজার পরও থান কাপড়ের দোকানগুলোতে চলছে শুনশান নীরবতা। বিপণিবিতানের বেশিরভাগ থান কাপড়ের দোকানগুলো এখনও ক্রেতাশূন্য। ফলে অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের অপেক্ষায় পার করছেন অলস সময়। 

ক্রেতাদের সন্তোষজনক আগমন না থাকায় হতাশায় আছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি মানের থান কাপড়ের ব্যবসায়ীরা। তবে অনেক ক্রেতা জানান থান কাপড় কিনে তৈরিতে সময় ও সেলাই খরচ বেশি হয়ে থাকে।


বিজ্ঞাপন


বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) মৌলভীবাজার শহরের বিভিন্ন থান কাপড়ের দোকান ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ফুটে ওঠে এমন চিত্র।

ব্যবসায়ীরা জানান, গত তিন বছর করোনার প্রভাবে তেমন ব্যবসা হয়নি। ফলে সেই সময় লোকসান গুনতে হয়েছে। ওই লোকসান পোশাতে এ বছর ঈদকে সামনে রেখে অন্যান্যবারের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি মাল তুলেছেন তারা। বিশেষ করে থান কাপড়ের ব্যবসায়ীরা রমজানের আগেই বেশি করে কাপড় কিনেছেন। কিন্তু সেই তুলনায় বাজারে ক্রেতা কম।

তারা আরও জানান, অন্যান্য কাপড়ের তুলনায় থান কাপড় আগে ভাগে বিক্রি হয়। আর তা না হলে পরবর্তীতে থান কাপড় বিক্রি করা কষ্টকর। প্রথম রমজান থেকে ১৫ রমজানের এই সময়টায় বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও প্রত্যাশিত বিক্রি হচ্ছে না।

শহরের মধ্যে থান কাপড়সহ অন্যান্য কাপড়ের ছোট ও মাঝারি তিনটি দোকান রয়েছে রিপন দের। তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী ক্রেতা পাচ্ছি না। সব মিলিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় আছি।


বিজ্ঞাপন


এখন পর্যন্ত ব্যবসা কম হলেও আশাবাদী আরেক থান কাপড় ব্যবসায়ী কাবের আহমেদ। তিনি বলেন, দোকানে থান কাপড়সহ অন্যান্য পোশাক বিক্রি করি। তবে রেডিমেড পোশাক অল্প অল্প বিক্রি হচ্ছে, সব মিলিয়ে পুষে যাবে।

dokan

গত কয়েক বছরের মধ্যে চলতি বছর থান কাপড়ের বিক্রি অনেক কমে গেছে বলে জানান থান কাপড়ের ব্যবসায়ী অনিমেষ দেব। তিনি বলেন, বেশি বিক্রি ও লাভের আশায় অধিক টাকা বিনিয়োগ করলাম। কিন্তু সে তুলনায় বিক্রি কম। এখন অপেক্ষায় আছি ঈদের যে কয়েকদিন বাকি আছে সেই দিনগুলোতে কিছু বিক্রি করতে পারি কিনা।

কথা হয় কাপড় সেলাইয়ের দোকান মালিক হাসান আহমদ ও কারিগর আসগর মিয়ার সঙ্গে। তারা জানান, অন্য বছরের তুলনায় কাপড় সেলাইয়ের অর্ডার কম আসছে। তবে তারা এখনও আশায় আছেন, এবারের ঈদে রোজগার ভালো হবে।

কাপড় কিনতে আসা উন্মে হাবিবা বলেন, এখন রেডিমেড কাপড় কিনছি। পাশাপাশি টুকটাক থান কাপড়ের কেনাকাটা হচ্ছে।

dokan

ক্রেতা পাপড়ি খানম বলেন, কেনাকাটা মোটামুটি শেষের পথে। বাকিগুলো দুই একদিনের মধ্যে কিনে ফেলব। আগেভাগে কিনতে হবে, না হলে টেইলার্স সময়মতো সেলাই করে দিবে না।

আরেক ক্রেতা শাম্মী আক্তার বলেন, থান কাপড় কিনে তৈরিতে সময় ও সেলাই খরচ বেশি পরে যায়। তাই রেডিমেড কাপড়ই কিনি। তবে ছোট বাচ্চাদের জন্য অল্প থান কাপড় কিনবো।

মৌলভীবাজার বিজনেস ফোরামের আহবায়ক নুরুল ইসলাম কামরান বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অধিক দামের ফলে বেশিরভাগ মানুষ অর্থসংকটে রয়েছেন। এর প্রভাব ঈদ বাজারে পড়েছে। ব্যবসা যত কম হবে, ব্যবসায়ীরা তত ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এখন পর্যন্ত ভালো না গেলেও আমরা আশাবাদী ঈদ পর্যন্ত কেনাবেচা ভালো হবে।

টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর