বরগুনার আমতলী সদর ইউনিয়নের চলাভাঙ্গা গ্রামের গৃহবধূ শাহিদা বেগমের লাশ হাসপাতালের মর্গে থাকলেও স্বামী হারুন চৌকিদার রয়েছেন পলাতক। এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে ।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার চলাভাঙ্গা গ্রামের নিজাম হাওলাদারের ছেলে হারুন চৌকিদারের সঙ্গে কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার ভাঙ্গা দিঘির পাড়ের কাদের চৌকিদারের মেয়ে শাহিদার বিয়ে হয় ২০১১ সালে। বিয়ের পর তাদের ২টি কন্যা সন্তানেরও জন্ম হয়। এক সপ্তাহ আগে হারুন চৌকিদার দ্বিতীয় বিয়ে করলে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়।
সোমবার সন্ধ্যায় এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা এবং মারপিটের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে শাহিদা গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামবাসী জানান, গৃহবধূ শাহিদাকে হত্যা করে তার স্বামী লাশ ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান শাহিদাকে উদ্ধার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। এসময় তার স্বামী পলাতক ছিল।
ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখি শাহিদার লাশ মাটিতে শোয়ানো। দ্রুত আমি তাকে চিকিৎসার জন্য আমতলী হাসপাতালে নিয়ে আসি। এসময় তার স্বামী হারুন চৌকিদার পলাতক ছিল।
বিজ্ঞাপন
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনার মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়া গেলে জানা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা।
প্রতিনিধি/একেবি
