বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

এনজিওতে বিনিয়োগ করা ১০৫ কোটি টাকা ফেরত চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:০৩ পিএম

শেয়ার করুন:

এনজিওতে বিনিয়োগ করা ১০৫ কোটি টাকা ফেরত চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে অতি মুনাফা লাভের  আশায় মধুমতি নামক এনজিওতে বিনিয়োগকৃত ১০৫ কোটি টাকা ফেরতের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী  প্রতারিত গ্রাহকরা। 

শনিবার (১ এপ্রিল) বিকেলে  চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবে সকল ভুক্তভোগী গ্রাহক, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্যানারে নারী-পুরুষসহ অর্ধশতাধিক গ্রাহক এই সংবাদ সম্মেলন করেন। 


বিজ্ঞাপন


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাড়ে ৮লাখ টাকা প্রতারণা শিকার নাসিমুদ্দিন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জের শিবনারায়নপুর এলাকায় মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে মাসুদ রানা জেলা সমবায় অধিদফতর ও সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন নিয়ে মধুমতি সামজ উন্নয়ন সংস্থা  নামে একটি এনজি গড়ে তুলে। পরে তারা জেলায় ৪৬টি শাখার মাধ্যমে প্রায় ৩৫হাজার গ্রাহক তৈরী করে এক লাখ টাকায় এক হাজার দুই’শ টাকা মুনাফার প্রলোভন দিয়ে প্রায় ১০৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। 

এতে অনেকেই সহায়-সম্বল বিক্রি করে আবার অনেকেই চাকরীর পেনশনের টাকা তুলে ওই এনজিওতে দেড়লাখ টাকা থেকে ৩৫লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করে। প্রথম প্রথম তাদের লাভ দেয়া হলেও গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে কোন লাভ দেয়া হয়নি এমনকি তাদের আমানত ফেরত চাইলেও দিব দিচ্ছি  করে আর ফেরত দেয়নি। এরই মধ্যে গত ১৭ নভেম্বর এনজিওটির পরিচালক মাসুদ রানা অস্ত্র নিয়ে পুলিশের হাতে আটক হলে ওই এনজিওর নামে গড়ে তোলা বিভিন্ন আস্থাবর  সম্পত্তি সরিয়ে নেয়া হয়। 

এতে আমানত হারিয়ে চোখে অন্ধকার দেখছেন গ্রাহকরা। ইতোমধ্যে প্রতারিত গ্রাহকরা এনজিওটির কর্মকর্তাদের নামে মামলা করায় তারা সকলেওই পলাতক রয়েছে। এমন অবস্থায় গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা। সংবাদ সম্মেলন থেকে আগামীকাল রোববার জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্হিত ছিলেন, গ্রাহক রোকেয়া বেগম, দেলশাদ আলী, প্রতিবন্ধী পলাশ ঘোষ প্রমূখ। উল্লেখ্য স্থানীয়  প্রশাসন ও কতিপয় জনপ্রতিনিধির পৃষ্ঠপোষকতায় মধুমতি এনজিওর ধুরন্ধর পরিচালক মাসুদ রানা সম্প্রতি মধুমতি গ্রুপ নামে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই বিভিন্ন পণ্য বাজার থেকে কিনে নিজের নামে প্যাকেট করে বাজারজাত করা ছাড়াও বিভিন্ন স্হানে জমি, কারখানাসহ প্রায় ৫০টি ট্রাক কিনে সুকৌশলে তার এক ভাইয়ের নামে হস্তান্তর করেছে এবং নিজে অস্ত্র নিয়ে আটকের নাটক সাজিয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।


বিজ্ঞাপন


প্রতিনিধি/একেবি

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর