শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

শেরপুরে ডিমের দাম হালিতে ৭ টাকা কমেছে 

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:৫৬ পিএম

শেয়ার করুন:

শেরপুরে ডিমের দাম হালিতে ৭ টাকা কমেছে 

শেরপুরে কয়েকদিন আগে স্থানভেদে ডিম ৪৫ টাকা হালি বিক্রি হয়েছিল। দুদিনের ব্যবধানে দাম কমেছে হালিতে ৫ থেকে ৭ টাকা। আর গোশত ও মাছের দাম বাড়ায় ডিমের ওপর চাপ বেড়েছিল। তাই দামও বাড়ছিলো, দাবি খামারি ও ডিম ব্যবসায়ীদের। তবে দাম কমলেও ডিম কেনা থেকে বিরত থাকছেন বেশিরভাগ ক্রেতা।

শনিবার (১ এপ্রিল) জেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুরগির ডিমের হালি ৩৮-৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি ৩৬টাকাও বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে সাদা ডিম প্রতি হালি প্রতি ৩৬ ও ৩৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর হাঁসের ডিম ৫২ থেকে ৫৫ টাকা হালি ধরে বিক্রি করা হচ্ছে। 


বিজ্ঞাপন


আখের মামুদ বাজারে খুচরা ডিম বিক্রি করছেন মেহেদী হাসান জুয়েল। তিনি বলেন, শহরের নয়ানী বাজার হতে আমরা ডিম নিয়ে আসি। সেখান থেকে যে ধরে কিনি, সে ধর মোতাবেক বিক্রি করি আমরা। আমরা ৩৮ থেকে ৪০ টাকা ধরে ডিম বিক্রি করছি। সাদাটার দাম আরেকটু কমে ৩৬ টাকায় দেওয়া যাচ্ছে। 

শ্রীবরদী উপজেলার ভায়াডাঙা বাজারের খামারি মিজান মিয়া বলেন,  বর্তমানে মুরগির খাদ্যের বস্তা ২ হাজার ২০০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত হয়েছে। বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ৬০০ টাকার মতো। যে কারণে খরচ বেড়ে গেছে।  তাই ডিমের দাম বেড়েছে। তবে রমজানে ডিমের চাহিদা অন্য সময়ের চেয়ে অনেক কম। তাই দামও কমেছে।

আরেক খামারি শামসুল হক বলেন, লোকসানে পড়ে গত কয়েক বছরে গ্রামে  ব্রয়লার মুরগির ছোটখাটো অনেকখামার বন্ধ হয়ে গেছে। তবে রোজাকে সামনে রেখে কিছু চালু হলেও খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় এখন আর লাভ থাকে না।

এদিকে আখের মামুদ বাজারের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দুদিনের ব্যবধানে হালি প্রতি ৪-৭ টাকা কমছে। দাম কমলেও ক্রেতারা খুব কম ডিম কিনছেন।


বিজ্ঞাপন


শেরপুর শহরের নয়ানী বাজারের কথা হয় ক্রেতা শাহনাজ পারভীনের সাথে। তিনি বলেন, মাছ-মাংসের দাম চড়া থাকায় কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ভাল মানের খাবারের তালিকায় জায়গা নিয়েছে ডিম। কিন্তু সেই ডিমের দামও কয়েকদিন আগে ছিল চড়া। ৪৫থেকে ৪৬ টাকার কমে বাজারে মুরগির ডিম পাওয়া যায়নি। যা এখন ৩৬ থেকে ৪০ টাকা করে হালিতে পাওয়া যাচ্ছে।

ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল বাজারে বাজার করতে আসেন শহিদুল ইসলাম। তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, রোজা আয়লেই (আসলেই) অন্য সময়ের চেয়ে সব জিনিসের দাম বাড়ে। আর এবার ত পাগলা ঘোড়ার মতো লাফিয়ে দাম বেড়েছে। দামের কারণে মাছ, গোশত কিনবার পাইনাই। সারাদিনে ইজিবাইক চালাইয়া যে ট্যাহা পাই, তা দিয়ে একটা কিনতে আরেকটা শেষ।  আমগোর মতো  (আমাদের) নিম্ন আয়ের মানুষদের ভালা খাবার হইলো ভাতের সঙ্গে ডিম। এইডা আমগোর এদিকে জামাইয়ানা (মেহমান) খানা। দাম কমাই আমরাও খুশি। আরেকটু কমলে, আরও ভালা অইবো।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পোলট্রি খাদ্যের তৈরীতে বিদেশি কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশে পোলট্রি খাদ্যের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ডিম ও মুরগির দরে প্রভাব পড়েছে। এখন মজানের মাস চলছে। তাই ডিমের চাহিদা তুলনামূলক একটু কম, তাই চলতি সপ্তাহে দাম কিছুটা কমেছে।

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর