বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

দুর্বল নেটওয়ার্ক, হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০১:১৫ পিএম

শেয়ার করুন:

দুর্বল নেটওয়ার্ক, হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

উত্তরবঙ্গের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)। দেশব্যাপী এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি থাকলেও এখনো নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক ও উচ্চমানের ইন্টারনেট সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তাজউদ্দীন আহমেদ হল, ডরমিটরি-২, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে মোবাইল নেটওয়ার্ক সমস্যা চরমে উঠছে। হলের সামনে মোবাইলে দু-একটি নেটওয়ার্ক টাওয়ারের দেখা মিললেও হলে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে সে সিগনাল অদৃশ্য হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।


বিজ্ঞাপন


শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এবং ৯টি আবাসিক হলের দু-একটিতে ওয়াই-ফাই (ইন্টারনেট) সেবা থাকলেও তা টিভি রুম বা রিডিং রুমে সীমাবদ্ধ। নামমাত্র এই ইন্টারনেটের সঙ্গে বাড়তি দুর্ভোগ দুর্বল ফ্রিকোয়েন্সি। ফলে ই-লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম থেকে পিছিয়ে পড়ছেন বলে মত শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক না থাকায় তারা ঠিক মতো মোবাইল ফোনে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন না। অধিকাংশ সময়ই তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ কাজে বা ফোনে কথা বলতে হলের বাহিরে আসতে হয়। বাড়ি থেকে মা-বাবা কল দিয়ে না পেলে দুশ্চিন্তা করেন বলে জানান তারা।

তাছাড়া নানা সময়ে পুরো ক্যাম্পাসকে ওয়াই-ফাই আওতায় আনার কথা থাকলেও তা শুধু টিএসসিতে সীমাবদ্ধ। এছাড়া ওয়াজেদ ভবনের পঞ্চম তলায় স্থাপিত কম্পিউটার ল্যাবে ওয়াই-ফাই সুবিধা পান না বলে জানান শিক্ষার্থীরা। ধীরগতি, দুর্বল ফ্রিকোয়েন্সি এবং যে কয়েকটি পয়েন্টে ওয়াই-ফাই সুবিধা পাওয়া যায় সেখানেও সময়ের সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষকদের দেওয়া অ্যাসাইনমেন্ট ও অনলাইনে বিভিন্ন বই কিংবা উপকরণ খোঁজার জন্য শিক্ষার্থীরা নিজেদের খরচে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। ফলে শিক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে বাড়তি অর্থের চাপে। আবার সেই ওয়াই-ফাই সংযোগ সেবা নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।


বিজ্ঞাপন


আবাসিক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রায় অর্ধযুগ থেকে এই ভোগান্তিতে আছেন তারা। প্রশাসনিক ভবন ও পরে ১০ তলা একাডেমিক ভবন হওয়ায় সিগনাল পাস হতে সমস্যা হয় বলে জানায় কিছু মোবাইল অপারেটর। যদিও এই দাবিকে ভিত্তিহীন বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রয়োজনীয় টাওয়ার ও আধুনিক প্রযুক্তি বসিয়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক সবল এবং পুরো ক্যাম্পাসকে ওয়াই-ফাই জোনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

ডরমিটরি-২ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিনের এই নেটওয়ার্কের সমস্যা তাদেরকে বেশ ভোগান্তিতে রেখেছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় এমন সংকট কাম্য নয়। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই সমস্যা লাঘবে কাজ করবেন।

নতুন ছাত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আফিয়া আনজুম জানান, শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য আমরা বাড়ি থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছি। আমাদের মা-বাবা সবসময় আমাদের খোঁজ খবর রাখার চেষ্টা করেন। যখন তারা আমাদের বারবার ফোন করে ফোন বন্ধ পান, তখন তারা দুশ্চিন্তা করেন। অনেকসময় জরুরি প্রয়োজনে ফোন দিয়ে আমাদের পান না। এমন পরিস্থিতি আমাদের জন্য কষ্টের।

এবিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি সেলের কো-অর্ডিনেটর সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনসহ (বিটিআরসি) চারটি অপারেটরকে চিঠি পাঠানো হয়। তারা এসে হলগুলো থেকে সিগনাল মেজারমেন্ট করে নিয়ে চলে যায়। তবে কবে নাগাদ সমস্যা সমাধান হবে তা জানেন না কেউ।

তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাসের প্রতিটি পয়েন্টে যেন ওয়াই-ফাই যায়, ভিসি স্যার আমাদের সেই বিষয়ে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। আমরা প্রাথমিক স্ট্রাকচার দেখিয়ে দিয়েছি। পুরো ক্যাম্পাস ওয়াই-ফাই এর আওতায় আনার ক্ষেত্রে ফান্ডিং একটি বড় বিষয়। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে অনেকটা কষ্টকর বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এবিষয়ে কথা বলতে উপাচার্যকে ফোন দেওয়া হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর