হজ প্যাকেজের দাম বাড়ার পরও সিলেটে বেড়েছে হজযাত্রী। সিলেট থেকে সারাসরি সৌদি আরবগামী ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি করছেন সিলেটবাসী।
চলতি হজ মৌসুমে হজযাত্রীদের প্রথম ফ্লাইট শুরু হবে ২১ মে। ওইদিন রাত পৌনে ৪টায় প্রথম হজ ফ্লাইট হজযাত্রীদের নিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
বিজ্ঞাপন
সিলেটে হজ যাত্রী পরিবহনে এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৬টি হজ ফ্লাইট চালুর দাবি তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা। এর মাধ্যমে যাত্রী দুর্ভোগ অনেকাংশে লাঘব হলে বলে মনে করছেন তারা।
এ বছর হজ প্যাকেজের মূল্য ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭১ হাজার ২৯০ টাকা। একইসঙ্গে হজ নিবন্ধনের সময় ২৭ মার্চ পর্যন্ত বেড়েছে।
সিলেটের বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির হিসাব অনুযায়ী গত সপ্তাহ পর্যন্ত ইকরা ট্রাভেলসের মাধ্যমে ১৫৬ জন, এলাইট ট্রাভেলসের মাধ্যমে ২৩৯ জন, খাজা এয়ার সার্ভিস ১৪৯ জন, আল মনসুর ট্রাভেলস ১৩৬, আল এহসান ট্রাভেলস ১৯৮ জন, সিটি ওভারসিজ ২৭২ জন, নিব্রাস ট্রাভেলস ২১৮ জন, শিপু ওভারসিজ ১৩৯ জন, লতিফ ট্রাভেলস ২৯২ জন, সানসাইন ট্রাভেলস ২৯২ জন এবং সিপার এয়ার ওয়েজের মাধ্যমে ১০৭ জন হজযাত্রী নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে।
হজ্ব এজেন্সিস অব বাংলাদেশ (হাব) সিলেট চ্যাপ্টারের সভাপতি জহিরুল কবির চৌধুরী শীরু জানান, নানা জটিলতা সত্ত্বেও এ পর্যন্ত বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সিলেট অঞ্চলের প্রায় আড়াই হাজারের বেশি হজযাত্রী রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন। যা গত বছরের তুলনায় বেশি।
২৭ মার্চ পর্যন্ত হজ নিবন্ধনের সর্বশেষ সময় পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন তিন হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে তার আশা।
বিজ্ঞাপন
সিলেট-জেদ্দা রুটে ৪টি এবং সিলেট-মদিনা রুটে আরো দুইটি ফ্লাইট চালুর দাবি সিলেটবাসীর। অতিরিক্ত ফ্লাইট চালু হলে সিলেটের হজযাত্রীদের আর ঢাকায় যেতে হবে না, দুর্ভোগ অনেকাংশে লাঘব হবে।
২০১৯ সালে সিলেট অঞ্চলের হজযাত্রী ছিলেন ২ হাজারের বেশি। ২০১৮ সালে প্রাক নিবন্ধন জটিলতার কারণে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ১ হাজার ৯ শত জনে। ২০১৭ সালে সিলেট অঞ্চলের হজযাত্রী ছিলেন ৩ হাজার ৪ শ জন।
প্রতিনিধি/এজেড
