বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

কুবিতে ২ ছাত্রলীগ নেতার মারামারি, উত্তপ্ত আবাসিক হল

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২৩, ১১:৪৮ এএম

শেয়ার করুন:

কুবিতে ২ ছাত্রলীগ নেতার মারামারি, উত্তপ্ত আবাসিক হল
ছবি: ঢাকা মেইল

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) হল শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতা জুনিয়র এক নেতাকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে মধ্যরাতে উত্তপ্ত হয়ে পড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এদিকে, মারধরের ঘটনায় একজনকে হল ছেড়ে দেওয়ার প্রাথমিক নির্দশনা দিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ।


বিজ্ঞাপন


শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টায় হল সংলগ্ন রতন চা স্টলে এই ঘটনা ঘটে। পরে মধ্যরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট মোকাদ্দেস-উল ইসলাম ও সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত বিষয়টি মীমাংসা করতে এসে এ সিদ্ধান্ত নেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মীরহাম রেজা (২০১৯-২০ সেশন) শুক্রবার দুপুরে ডাইনিং বয়কে হলের অভ্যন্তরে উচ্চস্বরে ডাকায় আইন অনুষদ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নেওয়াজ শরিফ ফাহিম (২০১৬-১৭ সেশন) তাকে ধমকের সুরে শাসান করেন। পরে বিষয়টি নিয়ে মীরহামের সঙ্গে উচ্চবাচ্য হলে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী নিয়ে মারতে আসেন মীরহাম। পরে ফাহিমকে অন্যান্যরা চিনতে পেরে বিষয়টি নিয়ে আপোষ করেন তারা। পরে তাদের এই বাগবিতণ্ডার জেরে মীরহামের বিভাগের (প্রত্নতত্ত্ব) সিনিয়র ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ (১৮-১৯ সেশন) তার জুনিয়রকে কেন ধমক দেওয়া হয়েছে তা জানতে চান। এ নিয়ে ফাহিমের সঙ্গে সেলিমের উচ্চবাচ্য হয়।

উচ্চবাচ্যের এক পর্যায়ে ফাহিম সেলিমকে চড় মারলে সেলিমও পালটা আক্রমণ করে বসে ফাহিমের উপর। পরে এ ঘটনার জের ধরে হল উত্তপ্ত হতে শুরু করে। পরে বিচারের আশ্বাসে বিষয়টি নিয়ে মীমাংসায় বসে হল কর্তৃপক্ষ।

এবিষয়ে প্রথমে বাগবিতণ্ডায় জড়ানো শিক্ষার্থী মীরহাম রেজা বলেন, ক্যান্টিনে কিছু টাকা বাকি থাকায় ক্যান্টিন বয়কে ডাকতেছিলাম। তখন উনি (ফাহিম) আমাকে বলেন, তুই আমারে চিনস? তুই এমনে কথা বলস কেনো? আর একটা কথা বললে তোর হাত পা কেটে ফেলবো। উনাকে আমি চিনতাম না, উনাকে সালাম না দেওয়ায় আমার সঙ্গে এমন আচরণ করেন।


বিজ্ঞাপন


মীরহামের বিভাগের সিনিয়র সেলিম আহমেদ বলেন, বিভাগের জুনিয়রকে ধমকানো হয়েছে জানতে পেরে আমি তার (ফাহিম) কাছে বিষয়টি কি হয়েছে জানতে চাই। কিন্তু উনি আমাকে কথাবার্তার এক পর্যায়ে পাঞ্জাবি ধরে হলগেইটে মারধর করেন।

এবিষয়ে মারধরকারী সিনিয়র শিক্ষার্থী ফাহিম বলেন, হলের সিনিয়র হওয়ায় আমি তাকে (মীরহাম) সতর্ক করার জন্য প্রভোস্টের রুমের সামনে উচ্চস্বরে কথা না বলতে নিষেধ করি। কিন্তু সে আমার সঙ্গে উদ্ধতপূর্ণ আচরণ করার পাশাপাশি তার বন্ধুদের নিয়ে আসে আমাকে মারার জন্য।

কিন্তু সেলিম আমাকে একই বিষয়ে জিজ্ঞেস করে আমার ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করে। যেটা নিয়ে সে একপর্যায়ে আমার দিকে তেড়ে আসলে আমি তাকে আঘাত করি। পরবর্তীতে সেও আমাকে পাল্টা আঘাত করে।

হল ছাড়ার নির্দেশনার বিষয়ে ফাহিম বলেন, জুনিয়রকে মারধর করাটা আমার ঠিক হয়নি। তাই স্যাররা হয়তো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু এটা যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় তবে আমার আক্ষেপ থাকবে।

সার্বিক বিষয়ে বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম বলেন, আমরা প্রাথমিক সিদ্ধান্তনুযায়ী ফাহিমকে (প্রথমে মারধরকারী) এ মাসের মধ্যে হল ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। পরবর্তীতে হলবডির সবাইকে নিয়ে বসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবো।

টিবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর