মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

নওগাঁয় বেড়েছে মুরগির দাম, অস্বস্তিতে ক্রেতারা

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০২৩, ১১:২০ এএম

শেয়ার করুন:

নওগাঁয় বেড়েছে মুরগির দাম, অস্বস্তিতে ক্রেতারা
ছবি : ঢাকা মেইল

নওগাঁর বাজারে সব ধরনের মুরগির দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। অথচ উত্তরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি মুরগি উৎপাদনকারী এলাকার মধ্যে একটি হলো নওগাঁ জেলা। পৌর মুরগি বাজারে দেশি মুরগি ৫৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা অস্বস্তিতে পড়েছেন।

শহরের পৌর বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।


বিজ্ঞাপন


এছাড়াও এই বাজারে সোনালি মুরগি ৩৩০, লাল লেয়ার ৩১০, পাকিস্তানি লেয়ার মুরগি ৩৩০, প্যারেন্স লেয়ার মুরগি ৪৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

পৌর মুরগি বিক্রেতা মো. ইদ্রিস বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি মুরগির দাম ৩০ টাকা বেড়ে ৫৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

NOAGAON
 
তিনি বলেন, সেইভাবে দেশি মুরগি পাওয়া যাচ্ছে না। এই কারনে কিছুটা দাম বেশি। রোজার প্রথম দিনে চাহিদা বেশি থাকে। এই জন্য দাম একটু বেশি। 

কিছুদিনের মধ্যে দাম কমে যাবে বলে তিনি জানান।


বিজ্ঞাপন


একই বাজারে মুরগি কিনতে আসা মহিদুল ইসলাম বলেন, যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে তা স্বপ্নেও ভাবা যায় না। যে ব্রয়লার মুরগি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি ছিল সেই ব্রয়লার মুরগি কয়েকদিনে ২৪০ টাকা কেজি। এই ভাবে সব মুরগির দাম বেড়েছে।

ডিম বিক্রেতা রকিক বলেন, দেশি মুরগির ডিম ৮০ টাকা হালি, হাঁসের ডিম ৬০ টাকা, ফার্মের মুরগির ডিম ৪৪ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।

nogaon

পৌর খুচরা বাজারের গোপাল স্টোরের বিক্রেতা গোপাল চন্দ্র সাহা বলেন, মুগডাল ১৩০ টাকা, মোটা মসুর ১০০ টাকা, মাঝারি মসুর ১৪০ টাকা, খেসারি ৮৫ টাকা, মটর ৬৫ টাকা, বুটের ডাল ১০০ টাকা, ছোলা বুট ৮৫ টাকা। এছাড়াও পেঁয়াজ ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, দেশি রসুন ১০০ টাকা, ইন্ডিয়ান রসুন ১৬০ টাকা, আদা দেশী ১৬০ ও বিদেশী ১২০টাকা, খোলা আটা ৬০, চিনি ১১৫, তেল ১৮৫ ও প্যাকেট আটা ৬৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

তিনি বলেন, দুই-তিন দিনের ব্যাবধানে পিঁয়াজ ও আদার দাম বেড়েছে। তবে অন্যান্য জিনিসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

সবজি বিক্রেতা শামসুর আলম বলেন, দেশি আলু ৩০, পটল ৭০, বেগুন ৭০, কাঁচা মরিচ ৭০, সজনে ৮০, করলা ৮০ টাকা, লেবু ৩০ টাকা হালি, শশা ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

nogaon

শামসুর আলম বলেন, কয়েকদিনের ব্যবধানে বেগুন আর শশার দাম কিছুটা বেড়েছে। আমরা আড়ত থেকে কিনে আনি। তাই দামের ওঠানামা আমাদের হাতে নেই। এসব কাঁচামাল সরবরাহের উপর নির্ভর করে।

রফিক আনসারী নামে এক সবজি ক্রেতা বলেন, দেশের মানুষ কি পরিমাণ কষ্টে আছে তা বাজারে এলে বোঝা যায়। বাজারে এলে মাছ কিনে আর সবজি কেনার টাকা থাকে না। সরকার ব্যবসায়ীদের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে। কোথাও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।

প্রতিনিধি/এইচই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর