শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

তরুণ প্রজন্মকে একাত্তরের চেতনায় অনুপ্রাণিত করবে ‘সূর্যদীর গল্প’

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৩, ০৮:০০ পিএম

শেয়ার করুন:

তরুণ প্রজন্মকে একাত্তরের চেতনায় অনুপ্রাণিত করবে ‘সূর্যদীর গল্প’

মহান মুক্তিযুদ্ধে শেরপুর জেলাজুড়ে সংগঠিত হয়েছিল নানা ঘটনা। স্বাধীনতার ৫২ বছর পর সদরের সূর্যদী গণহত্যার ঘটনা অবলম্বনে মঞ্চস্থ হলো ‘সূর্যদীর গল্প’। সুশীল সমাজ জানান, সঠিক ইতিহাস জানাতে এমন আয়োজন বেশি বেশি দরকার। আর আয়োজকরা জানান, তরুণ প্রজন্মকে একাত্তরের চেতনায় অনুপ্রাণিত করার উদ্দেশ্যেই এই নাটক, যা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। 

শনিবার রাতে সদর উপজেলার সূর্যদী স্কুল মাঠে এ নাটকটি মঞ্চস্থ হয়।


বিজ্ঞাপন


জেলা পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএম’র গবেষণা ও সার্বিক তত্বাবধানে নাটকটির রচনা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইমরান আহম্মেদ পিপিএম ও শেরপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শিব শংকর কারুয়া।

স্থানীয় রাজাকারদের নির্দেশে ১৯৭১ সালের ২৪ নভেম্বর সকাল ৮টায় শেরপুর সদরের সূর্যদী গ্রামে পাক হানাদার বাহিনী ঝাপিয়ে পড়ে গ্রামটিতে। সেদিন গ্রামবাসী কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাক বাহিনীরা ছুঁড়তে থাকে এলোপাতাড়ি গুলি। এসময় হত্যা করা হয় ৪৯জন নিরীহ মানুষকে, পুড়িয়ে দেয় ২শ ঘর-বাড়ি। সেদিনের ঘটনা অবলম্বনে সূর্যদী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শনিবার রাতে মঞ্চস্থ হলো ‘সূর্যদীর গল্প’। তাই নাটকটি দেখতে ভিড় ছিলো কয়েক হাজার নারী-পুরুষদের।

অভিনয় শিল্পী তপন সারোয়ার, গোলাম মোস্তফা, রজত সাহা অন্ত, পূজা পালসহ অন্যান্যরা জানায়, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে হলেও এমন উদ্যোকে স্বাগত জানাচ্ছি। আর মহান মুক্তিযুদ্ধের নাটকে অংশ নিতে পেরে গর্বিত আমরা ।

নাগরিক প্ল্যাটফর্ম জনউদ্যোগের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ ঢাকা মেইলকে বলেন, হানাদের দ্বারা সংগঠিত গণহত্যা, প্রতিরোধ যুদ্ধ এবং শেষে বিজয় এমন নানা ঘটনা ছাড়াও ৪৭’র দেশ ভাগ, ৫২’র ভাষা আন্দোলন এবং ৬দফা আন্দোলনের চিত্র ফুটে উঠেছে এ নাটকে। সুশীল সমাজের নাগরিকরা আরও জানায়, নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানাতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এমন আয়োজন বড় বেশি দরকার।


বিজ্ঞাপন


নাটকটির রচয়িতা ও নির্দেশক শেরপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শিব শংকর কারুয়া ঢাকা মেইলকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণে এই উদ্যোগ সহায়ক হবে। নতুন প্রজন্ম এ নাটক থেকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস, ঘটনা অবগত হতে পারবে। দেশপ্রেমে তারা আরও উজ্জীবিত হবে।

নাটকটির আয়োজক শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএম ঢাকা মেইলকে জানান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এমন নাটক তরুণ প্রজন্মকে একাত্তরের চেতনায় অনুপ্রাণিত করবে। অসাম্প্রদায়িকতা দেশ গড়তে এমন নাটক ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি আগামীতেও জেলাজুড়ে ঘটে যাওয়া গনহত্যার ঘটনা নিয়ে এমন আয়োজন করা হবে।

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর