মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

অহিমায়িত মডেল ঘরে আলু সংরক্ষণ পদ্ধতি খরচ কমবে কৃষকের

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৩, ০৬:৪৩ পিএম

শেয়ার করুন:

অহিমায়িত মডেল ঘরে আলু সংরক্ষণ পদ্ধতি খরচ কমবে কৃষকের

আলুর বহুমুখী ব্যবহার, সংরক্ষণ ও বিপণনে অহিমায়িত মডেল ঘরে আশার আলো দেখছেন রংপুরের চাষিরা। মডেল এই ঘরে ২৫-৩০ মেট্রিক টন আলু সংরক্ষণে কৃষকের সাশ্রয় হবে বছরে প্রায় দেড় লাখ টাকা। আর একেকটি অহিমায়িত মডেল ঘর ১২ থেকে ১৫ বছর ব্যবহার করা যাবে। সেই হিসেবে দেড় কোটি টাকারও বেশি কোল্ড স্টোরেজ খরচ বাঁচবে কৃষকের, সঙ্গে কমবে সংরক্ষণ বিড়ম্বনাও।

রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরে রংপুরে পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়নের স্বচাষ গ্রামে অহিমায়িত মডেল ঘরে আলু সংরক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার।


বিজ্ঞাপন


কৃষি বিপণন অধিদফতর জানায়, আলুর বহুমুখী ব্যবহার, সংরক্ষণ ও বিপণন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে রংপুর বিভাগসহ দেশের ১৬টি জেলায় ৪৫০টি অহিমায়িত মডেল ঘরে আলু সংরক্ষণ করা হবে। রংপুর জেলায় ৭৫টি মডেল ঘরের মধ্যে চলতি অর্থবছরে ৪৫টি ঘরে আলু সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরে ২৫-৩০ মেট্রিক টন আলু ৮ মাস ধরে সংরক্ষণ করা যাবে। জেলার এসব অহিমায়িত মডেল ঘরগুলো আজ একযোগে আলু সংরক্ষণের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার।

কৃষি বিপণন অধিদফতরের উপহার পাওয়া মডেল ঘর ও স্থানীয় কৃষক বিপণন দলের সভাপতি আলু চাষি তৈয়বুর রহমান জানান, ‘আমরা আলুচাষিরা ন্যায্য মূল্য পাই না। ফলে আমরা অর্থনৈতিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হই। কৃষি বিপণন অধিদফতরের পাওয়া এই মডেল ঘরে আমরা এখন ৩০ মেট্রিক টনের বেশি আলু রাখতে পারব। এতে আমাদের এই ঘর থেকে হিমাগারের তুলনায় দেড় লাখ টাকা সাশ্রয় হবে। বিশেষ করে আলুর দাম বাড়লে চাহিদা অনুযায়ী আমাদের ইচ্ছেমতো আলু বিক্রয় করতে পারব। সরকারের এই উদ্যোগ  প্রতিটি আলুচাষীর জন্য সুফল বয়ে আনবে।’

রংপুর জেলা কৃষি বিপণন অধিদফতরের সিনিয়র বিপণন কর্মকর্তা রবিউল হাসান বলেন,‘চাষীদের আলু সংরক্ষণে খরচ লাঘবে আমরা অহিমায়িত এই মডেল ঘরের পাইলট প্রোগ্রাম গত বছর থেকে হাতে নিয়েছি। সেই প্রকল্পের আজ বাস্তব রূপ পেতে শুরু করেছে। আমাদের এই একেকটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে দেড় লাখ টাকা এর বিপরীতে কৃষক ১২ -১৫  বছর ধরে নিশ্চিন্তে আলু সংরক্ষণ করতে পারবে। একেকটি ঘরে প্রায় ৩০ মেট্রিক টন আলু ৮-৯ মাস সংরক্ষণ করা যাবে। এতে প্রতি বছরে আলু চাষির দেড় থেকে পৌনে দুই লাখ টাকা হিমাগার খরচ বাঁচবে।’

এদিকে আলু সংরক্ষণের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এই দিন দুপুর ২ টার দিকে কল্যাণী ইউনিয়নের স্বচাষ এলাকায় কৃষক বিপণন দলের সভাপতি আলু চাষি তৈয়বুর রহমানের উঠানে একটি মডেল হিমায়িত ঘরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে আলু সংরক্ষণের এই পদ্ধতি সম্পর্কে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার।


বিজ্ঞাপন


fd

এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক  মো. আফতাব হোসেন, রংপুর কৃষি বিপণন অধিদফতরের উপ-পরিচালক আনোয়ারুল হক, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. ওবায়দুর রহমান মন্ডলসহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ও কৃষি বিপণন অধিদফতরের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় আলুচাষীবৃন্দ।

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর