বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘বাবার চেহারা দেখার পরে দম বন্ধ হয়ে আসতেছে’ 

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৩, ০৪:২৩ পিএম

শেয়ার করুন:

‘বাবার চেহারা দেখার পরে দম বন্ধ হয়ে আসতেছে’ 

মাদারীপুরের এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন গোপালগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক অনাদি চন্দ্র মজুমদার। তিনি ঢাকায় একটি প্রশিক্ষণে যোগ দিতে গোপালগঞ্জ থেকে  ইমাদ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে যাচ্ছিলেন।

রোববার (১৯ মার্চ) সকাল ৭ টার দিকে পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 


বিজ্ঞাপন


অনাদি চন্দ্র মজুমদারের (৫৫) স্ত্রী অনিতা দত্ত ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে একজন শিক্ষক।

দুর্ঘটনায় বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন ছেলে অর্ণব মজুমদার। এ সময় সাথে ছিলেন মা অনিতা দত্ত। বাবার এমন মৃত্যু মানতে পারছে না অর্নব। তিনি বলেন, ‘কিছু বলতে পারছি না আমি। বাবার চেহারা দেখার পরে দম বন্ধ হয়ে আসতেছে আমার। ঈশ্বর আমাকে এমন দিন দেখালো কেন? আমি যে বাবা হারা হয়ে গেলাম।’

স্বামীর লাশ শনাক্ত করার পরে ভেঙ্গে পড়েন অনিতা দত্তও। তিনি বলেন, সকালেও ফোনে কথা হলো। বলল ঢাকায় ট্রেনিং শেষ করে আজই ফিরে আসবে। এমন হবে জানলে ঢাকায় যেতেই দিতাম না। আমার সুখের সংসার আর সুখ রইলো না।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের একটি বাস পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ সময় দুমড়ে মুচড়ে যায় বাসটি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নারীসহ ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আহত আরও দুজন মারা গেছে। ঢাকা মেডিকেলে আরও ১০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও আহত হয়ে কমপক্ষে ২৫ জন শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৬ জনের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে। 


বিজ্ঞাপন


দুপুর ৩টার মধ্যে ১৬ জনের লাশই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। একটি লাশের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। অপর দুটি লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর