চাচির দাফন শেষে শ্বশুরবাড়ি ফেরা হলো না গৃহবধূর

পিরোজপুরে চাচির দাফন শেষে আর শ্বশুরবাড়ি ফেরা হলো না গৃহবধূ নাজমিন বেগমের (৩০)। বাসের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন মোটরসাইকেল আরোহী ওই নারী। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা নিহত নারীর ৩ বছরের সন্তান ও স্বামী গুরুতর আহত হয়েছেন।

রোববার (১৯ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের পিরোজপুর-নাজিরপুর-ঢাকা সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. জা. মো. মাসুদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাজমিন বেগম পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার বুইচাকাঠী গ্রামের আলমগীল মোল্লা স্ত্রী এবং পিরোজপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ব্রাহ্মণকাঠী এলাকার ইলিয়াস দরানীর মেয়ে।

পিরাজপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. একরাম হোসেন জানান, পৌরসভার ব্রাহ্মণকাঠী এলাকার চাচির মৃত্যুতে দাফনের পরে স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকলে সন্তানকে নিয়ে নাজিরপুরের বুইচাকাঠী গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিলেন নাজিমন বেগম। সকাল ১০টার দিকে কদমতলা এলাকায় আসেন তারা। এসময় রাস্তায় বিপরীত দিক দিয়ে আসা এক বাস  তাদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে নাজমিন বাসের নিচে চাপা পরেন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ সময় মোটরসাইকলে থাকা নাজমিনের ৩ বছরের সন্তান সুমাইয়া ও স্বামী আলমগীর মোল্লা গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে।

পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসক ডা. মো. রমজান জানান, গৃহবধূ নাজমিনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। এছাড়া আহত শিশু সুমাইয়া ও তার বাবা আলমগীলকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।