বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

যশোরে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ বস্তুর প্রদর্শনী শুরু

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২২, ০৯:২৩ পিএম

শেয়ার করুন:

যশোরে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ বস্তুর প্রদর্শনী শুরু
ছবি : ঢাকা মেইল

ঐতিহাসিক-প্রাচীন ও যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত বিভিন্ন দুর্লভ বস্তুর প্রদর্শনী অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে যশোরে। জিলা স্কুলে এ আয়োজন করেছে কালেক্টরেট সোসাইটি।

শুক্রবার (২৫ মার্চ) সকালে প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান।


বিজ্ঞাপন


দুই দিনব্যাপী প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন আটজন এন্টিক সংগ্রাহক। প্রদর্শনীতে স্টলগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্টল হলো বঙ্গবন্ধু প্রদর্শনী।

বঙ্গবন্ধু প্রদর্শনীতে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, বঙ্গবন্ধুর ভাষণে ব্যবহৃত মাইক, বঙ্গবন্ধুর নির্বাচনী প্রতীক নৌকা, কৃষকদের ব্যবহৃত হুক্কা পাইপ, যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত রেডিও ও ক্যাসেট, তরবারি, ঢাল, বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত বেয়োনেট এবং স্বাধীন বাংলাদেশের খোদাই করা মানচিত্র।

যশোর

এছাড়া প্রদর্শনীতে রয়েছে বিভিন্ন দেশের বিলুপ্ত হওয়া মুদ্রা, ব্যবহৃত কয়লার কাপড় ঘষা যন্ত্র, কলের গান, আলো জ্বালানোর কাজে ব্যবহৃত বস্তু, পুরানো যুগের ব্যবহৃত টেলিফোন এবং যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত নানা মডেলের ক্যামেরা, বিভিন্ন ধরনের বিলুপ্ত হওয়া লটারি ও ডাকটিকেটসহ আরও অনেক কিছু।


বিজ্ঞাপন


বঙ্গবন্ধু প্রদর্শনীর সংগ্রাহক লুতফর রহমান লাল্টু বলেন, ১৯৯৫ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে আমার নজরে পড়া প্রাচীনকালে ব্যবহৃত দুর্লভ সকল বস্তু সংগ্রহ করেছি। বর্তমান প্রজন্মের কাছে আমাদের যুদ্ধকালীন সময়ের পরিচিতি ও ইতিহাস তুলে ধরবে এগুলো। তাদের কাছে এগুলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আরও সুদৃঢ় করবে। খুলনা বিভাগের বেশ কয়েকটি স্কুল ও প্রতিষ্ঠানে আমি মোট ১২টি প্রদর্শনীতে আমার এই সংগ্রহ নিয়ে অংশগ্রহণ করেছি।

জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, প্রাচীন ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হয়। যশোর কালেক্টরেট সোসাইটি সংগঠনের সদস্যরা এই ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে। এখানে প্রদর্শনী পরিদর্শনে এসে জাতির পিতার অনেক সংগ্রহ দেখলাম, কলের গান শুনেছি ও দেখেছি। কৃষকেরা যে হুক্কা ব্যবহার করতো সেগুলো দেখলাম। এছাড়া আগের যুগে মানুষ যে সকল জিনিসপত্র ব্যবহার করতো। এখন কালের বিবর্তনে সেগুলো হারিয়ে গেছে। এখানে প্রদর্শনীতে তা দেখলাম। এগুলো দেখে অত্যন্ত অভিভূত।

তিনি আরও বলেন, সংগঠনের সদস্যরা আগ্রহী হলে এন্টিক সংগ্রাহকদের এ সকল সংগ্রহ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সংরক্ষণ করতে চাই আমরা সহযোগিতা করবো।

জেলা শিক্ষা অফিসার একেএম গোলাম আযম বলেন, এখানে এ সকল প্রদর্শনী দেখে বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা প্রাচীনকাল এবং যুদ্ধকালীন সময়ের অনেক ধারণা পাবে। তাদের মধ্যে স্বাধীনতার চেতনা আরও উদ্বুদ্ধ হবে।

ছেলেকে সাথে নিয়ে প্রদর্শনী দেখতে আসা শহরের বেজপাড়া এলাকার তপু বিশ্বাস বলেন, আমি এখানে প্রদর্শনী দেখতে এসেছি, সাথে করে ছেলেকেও নিয়ে এসেছি। দেখে খুব ভালো লাগছে। এগুলো যেহেতু এখন আর দেখা যায় না। এগুলো এখনকার প্রজন্মের কাছে তৎকালীন সময় সম্পর্কে শিক্ষণীয় ভূমিকা রাখে।

তপু বিশ্বাসের ছেলে যশোর ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ছাত্র তীর্থ বলে, আমার এ প্রদর্শনী দেখে অনেক আনন্দ লাগছে। আমি ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্র, সেখানে এ সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা হয়ে ওঠে না আমাদের। এজন্য এখানে এসে প্রাচীনকালের অনেক বস্তুর সাথে পরিচিত হচ্ছি এবং জানছি।

এইচই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর