শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ছাত্রলীগের মারধরে হাত ভাঙলো রাবি শিক্ষার্থীর 

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৩, ০৮:৪৩ পিএম

শেয়ার করুন:

ছাত্রলীগের মারধরে হাত ভাঙলো রাবি শিক্ষার্থীর 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় ছাত্রলীগের মারধরের শিকার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী সাফায়েত হোসেনের ডান হাতে ফ্র্যাকচার হয়েছে। এছাড়া আগামী তিন সপ্তাহ তাকে বিশ্রামে থাকতে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় মানসিক অস্বস্তি ও হলে অনিরাপদ বোধ করছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সাফায়েত।

শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পর এসব জানান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। 


বিজ্ঞাপন


ভুক্তোভুগী ও হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার (১৭ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচিতে যাওয়ার জন্য ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ওই হলের রুমে রুমে শিক্ষার্থীদের ডাকতে যান। আল-আমিন নামের একজন সাফায়েতকে ডাকতে গেলে তিনি কর্মসূচিতে যেতে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে তাঁদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে নাজমুলসহ চার-পাঁচজন তেড়ে এলে নিজেকে রক্ষার জন্য তিনি বঁটি উঁচিয়ে ধরেন। 

এ সময় আশপাশে থাকা শিক্ষার্থীরা তাঁদের থামিয়ে দেন। পরে কর্মসূচি শেষে ছাত্রলীগের চার-পাঁচজন এসে সাফায়েতকে মারধর করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

জানা যায়, গতকাল শনিবার (১৭ মার্চ) সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে এক্স-রে করার পর হাতে ফ্র্যাকচার ধরা পরে। এটির জন্য হাতে ব্যান্ডে পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন সপ্তাহ তাকে বিশ্রামে থাকার জন্য চিকিৎসক পরামর্শ দিয়েছে। 

ভুক্তভোগী সাফায়েত হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি শেরে বাংলা হলের ২২১ নম্বর কক্ষে থাকেন। যাঁদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে, তাঁরা হলেন মতিহার হলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, ছাত্রলীগ কর্মী আল আমিন এবং তাঁদের অনুসারী কয়েকজন। আল আমিন ও নাজমুল হাসান দুজনেই ওই হলে থাকেন। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদের অনুসারী।


বিজ্ঞাপন


নিজের অনিরাপত্তার কথা বলে ভুক্তভোগী সাফায়েতে বলেন, ‘মারধরের পর থেকে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করছি। ঠোঁটে বেশি লেগেছিলো কিন্তু ওষুধ খেয়ে অনেকটা ভালো লাগছে। তবে হাতের ফ্র্যাকচারের বিষয়ে ভয় লাগছে। কবে এটি ঠিক হয়। কারণ এ অবস্থায় একাডেমিক কাজ ও পড়াশোনা কঠিন হবে।’

তদন্ত কমিটি গঠন 

এদিকে এ ঘটনায় শেরে বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষক শাহ মো. শাহান শাহরিয়ারকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শেরে বাংলা হলের প্রাধ্যক্ষ মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার জানার পরই ভুক্তভোগী ছাত্রের খোঁজখবর ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করেছি। তদের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী আমরা পরবর্তীতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর