চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে জ্যৈষ্ঠপুরা রমনী মোহন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বাইরে নিয়ে গেছেন ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নির্মলেন্দু দে সুমন।
পরে মেশিনটি নৌকার অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে উদ্ধার করে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে ফেরত দিয়ে আসেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রতন চৌধুরী। এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রতন চৌধুরীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় বৃহস্পপতিবার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাতে বোয়ালখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার প্রভাষক সজল দাশ বাদী হয়ে পেনাল কোডের ৩৮০ ও ৪১১ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন বলে জানান বোয়ালখালী থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন দুপুরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা রতন চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় পরে নির্মলেন্দু দে সুমনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা করা হয়। মামলাটির তদন্ত চলছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের জৈষ্ঠ্যপুরা রমনীমোহন উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের ৪ নম্বর বুথের ইভিএম মেশিন পরিবর্তন করে পুনরায় ভোট গ্রহণ কার্যক্রম আরম্ভ করা হয় এবং নষ্ট ইভিএমসহ একটি ব্যালেট ইউনিট ৪ নম্বর বুথের পেছনে রাখা হয়।
বিজ্ঞাপন
ব্যালেট ইউনিটটি সকাল সাড়ে ১১টায় যুবলীগ নেতা সুমন জোর করে নিয়ে যান। সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হারুনুর রশিদ এটি নিয়ে যেতে বাধা দিলেও শুনেননি তিনি। এরপর মেশিনটি ফেরত দিতে এসে আটক হন রতন চৌধুরী। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। নির্মলেন্দু শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি ওই এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত গৌরাঙ্গ দের ছেলে।
রতন চৌধুরীর দাবি, এটি একটি ডামি মেশিন। জাস্ট ভোটারদের কীভাবে ভোট দিতে হয় তা দেখিয়ে দেওয়ার জন্য বাইরে রাখা হয়েছিল। ছেলেটি অবুঝের মতো মেশিনটি বাইরে নিয়ে এসেছে। বিষয়টি জানা মাত্রই আমি উদ্ধার করে প্রিসাইডিং অফিসারকে বুঝিয়ে দিয়েছি।
জানতে চাইলে নির্মলেন্দু গুণ সুমন বলেন, আমি নৌকার পক্ষে কাজ করেছি। ভোটাররা কীভাবে ইভিএম-এ ভোট দিতে হয় জানেন না। তা দেখিয়ে দেয়ার জন্য নৌকার ক্যাম্পে নিয়ে এসেছি।
তিনি বলেন, এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি হবে জানলে আনতাম না।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বোয়ালখালী উপজেলা পরিষেদের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রে সরেজমিনে দেখা যায়, নৌকা ব্যতিত আনারস ও দোয়াত কলম প্রতীকের কোনো এজেন্টই ছিলেন না। দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে সর্বশেষ ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম রাজা ৩০ হাজার ৯৮৪ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
প্রতিনিধি/এসএস