শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

১০টায়ও দেখা মেলে না সরকারি কর্মকর্তাদের

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২৩, ১২:২৫ পিএম

শেয়ার করুন:

১০টায়ও দেখা মেলে না সরকারি কর্মকর্তাদের
ছবি: ঢাকা মেইল

সকাল ৯টায় সরকারি সব দফতরের কার্যক্রম শুরু হলেও ফেনী জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। এ কার্যালয়ে সকাল ৯টা নয়, ১০টার পরও কোনো কর্মকর্তার দেখা পান না সেবাগ্রহীতারা। দীর্ঘদিন এভাবে চলায় এখন ১০টায় অফিস শুরু হওয়া নিয়মে পরিণত হয়েছে। ফেনী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে গিয়েও একই চিত্র দেখা মেলে।

রোববার (১২ মার্চ) সকাল ১০টায় সরেজমিনে ওই কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, নাইটগার্ড আবুল কালাম একটি চেয়ারে বসে অলস সময় পার করছেন। তখনও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব টেবিল ফাঁকা পড়ে আছে। ১০টা ১০ মিনিটের দিকে অফিসে প্রবেশ করেন অফিস সহকারী জসিম উদ্দিন। এরপর অফিসে আসেন প্রধান সহকারী আবদুল মান্নান। একই সময়ে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন অফিস প্রধান জেলা রেজিস্ট্রার সেলিম হাওলাদার। সকাল সাড়ে ১০টার সময়ও অফিসে পৌঁছাতে পারেননি কম্পিউটার অপারেটর বখতেয়ার হোসেন ও টিসি সহকারী স্বরস্বতি।


বিজ্ঞাপন


সোনাগাজীর মতিগঞ্জ থেকে সেবা নিতে আসা মহিউদ্দিন বলেন, তিনি মতিগঞ্জ ভূমি অফিসের পিয়ন। তাকে ওই অফিস থেকে একটি নথি নেওয়ার জন্য জেলা অফিসে পাঠানো হয়েছে। তিনি সকাল সাড়ে ৯টা থেকে কম্পিউটার অপারেটর বখতিয়ারের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন।

সেবাগ্রহীতারা বলেন, এ অফিসে ১০টার আগে সাহেবরা কাজে হাত দেন না। তাই হিসেব করে সময় নিয়ে অফিসে আসতে হয়। আবার দুপুরের পর এ কার্যালয়ের টেবিলগুলো ফাঁকা হয়ে যায়।

সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘন করে সকাল ৯টার পরিবর্তে ১০টায় অফিস শুরুর বিষয়টি অস্বীকার করে প্রধান জেলা রেজিস্ট্রার সেলিম হাওলাদার বলেন, আজকে সবাই কিছুটা দেরি করে অফিসে এসেছে। কিন্তু অন্যান্য দিন আমার এ কার্যালয়ে সকাল ৯টা থেকেই কার্যক্রম চলে থাকে।

সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দুই কর্মকর্তা অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, টিসি স্বরস্বতি অসুস্থ। আর কম্পিউটার অপারেটর বখতিয়ার হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসবেন।


বিজ্ঞাপন


এদিকে সকাল ৯টায় ফেনী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে গিয়ে দেখা যায়, তখনও কার্যালয়ে আসেননি কোনো কর্মকর্তা। ৯টা ১০মিনিটে অফিসে আসেন কার্যালয়ের প্রধান অফিস সহকারী শাহজাহান। এরপর ৯টা ২৭ মিনিটে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন কম্পিউটার অপারেটর মো. হোসেন। তখনও কার্যালয়ে দেখা মেলেনি এ অফিসের প্রধান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন আহমেদের। ১০টা ছুঁইছুঁই সময়ে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন তিনি।

দেরিতে কার্যালয়ে প্রবেশের বিষয়ে এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, আমি অফিসের উপরে একটি কক্ষে থাকি। সকালে একবার অফিসে এসেছিলাম। প্রয়োজন থাকায় আবার থাকার কক্ষে যাই। এ অফিসের সব টেবিলে কাজের অতিরিক্ত চাপ থাকে। সবাই যথাসময়ে অফিসে প্রবেশ করে থাকেন বলে দাবি করেন এ কর্মকর্তা।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর