বরগুনার তালতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রেজবি-উল-কবিরের (৪২) বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুরে বরগুনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করে তালতলী উপজেলার তালতরীপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. ছগির হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী। পরে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মো. নাহিদ হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
এ মামলায় আরও অভিযুক্তরা হলেন- একই উপজেলার তুলাতলী এলাকার মরহুম আ. সালামের ছেলে আবুল (৪৫) এবং তালতলীপাড়ার মরহুম গগণ জমাদ্দারের জেলে ইউনুচ (৪৫)।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে মামলার বাদী মো. ছগির হোসেনের জমিতে স্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করেন। এতে বাধা দিলে লোকজন নিয়ে অভিযুক্তরা মো. ছগির হোসেনকে দেশত্যাগ করতে চাপ সৃষ্টি করেন। অন্যথায় তাকে মেরে পাঙ্গাশ মাছকে খাওয়ানোর হুমকি দেন। এসময় তার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান অভিযুক্তরা।
এ বিষয়ে মামলার বাদী মো. ছগির হোসেন বলেন, ঘটনার পর থেকেই আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বারবার চাপ দিচ্ছেন অভিযুক্তরা। তারা আমার বাড়িঘর এবং জমি দখল করে নেওয়ার অনবরত হুমকি দিচ্ছে। অভিযুক্তরা অত্যন্ত প্রভাবশালী। তাই মামলা করার পর তাদের ভয়ে আমি আত্মগোপনে আছি।
এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রেজবি-উল-কবিরের বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই তবে সকালে কেউ একজন আমাকে ফোন করে বলেছিল তবে আমি বুঝে উঠতে পারিনি। শত্রুতামূলক যে কেউই আমার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে, যেহেতু আমি সমাজের কাজ করি। যে মামলাই হোক না কেন তদন্ত করলে সত্যটা অবশ্যই বেরিয়ে আসবে।
বিজ্ঞাপন
মামলার আইনজীবী খাইরুল ইসলাম বলেন, শুনানি শেষে মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
প্রতিনিধি/এসএস
