রোববার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

বাগেরহাটে তিনজনের রহস্যজনক মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪ মার্চ ২০২৩, ০৫:৪৯ পিএম

শেয়ার করুন:

বাগেরহাটে তিনজনের রহস্যজনক মৃত্যু

বাগেরহাটের শরণখোলায় বাক-প্রতিবন্ধী, মোরেলগঞ্জে গৃহ-পরিচালিকা ও মানষিক প্রতিবন্ধীসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

শনিবার (৪ মার্চ) দুপুরে দুই উপজেলায় থেকে উদ্ধার করা মরদেহ দুটির ময়নাতদন্ত বাগেরহাট ২৫০ বেড হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। অপর মানষিক প্রতিবন্ধির মরদেহ মর্গের পথে বলে জানিয়েছেন এস আই অনুপ রায়।


বিজ্ঞাপন


বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান পুলিশ পরির্দশক এস এম আশরাফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বন্ধ ঘর থেকে রুহুল আমিন আকন (৪২) নামের এক বাক-প্রতিবন্ধী এবং মোরেলগঞ্জের উত্তর সরালিয়া থেকে হাওয়া বেগম (৬০) এক গৃহ-পরিচারিকার ও ছোটপরি গ্রাম থেকে হাফিজা আক্তার (৩৯)নামে স্বামী পরিত্যাক্তা  এক মানষিক প্রতিবন্ধির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান পুলিশ পরির্দশক এস এম আশরাফুল আলম জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর বাজার সংলগ্ন আজাদ সেপাইর ভাড়া বাড়ির ভেতর থেকে বন্ধ করা একটি ঘর থেকে বাক-প্রতিবন্ধী রুহুল আমিন আকনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। দুদিন ধরে কোন খোঁজ না পেয়ে তার ভাই ভাড়ার বাসায় এসে ডাকাডাকির পর কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে ঘরের মধ্যে পড়ে থাকা রুহুল আমিনের লাশ দেখতে পায়। বাক-প্রতিবন্ধী রুহুল আমীন মোরেলগঞ্জ উপজেলার আমতলী গ্রামের রুস্তম আলী আকনের ছেলে।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে মোরেলগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মিজানুর রহমানের বাড়ির বাগান থেকে গৃহপরিচারিকা হাওয়া বেগমের (৬০) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলার বাদুরতলা গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা হাওয়া বেগম ৩ দিন পূর্বে ওই কাউন্সিলরের বাড়িতে ২ হাজার টাকা বেতনে গৃহপরিচারিকার কাজ নিয়েছিলেন।


বিজ্ঞাপন


অপর দিকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা ছোট পরী থেকে হাফিজা আক্তার (৩৯)নামে স্বামী পরিত্যাক্তা এক মানষিক প্রতিবন্ধির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে সন্ন্যাসী পুলিশ ক্যাম্পর সদস্যরা। দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হাফিজা ছোটপরী গ্রামের মৃত হাসান আলীখানের মেয়ে।

বাকপ্রতিবন্ধী যুবক ও গৃহপরিচারিকা নারীর ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব হবে বলেও জানান- জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান।

সন্ন্যাসী পুলিশ ক্যাম্পর ইনচার্জ এসআই অনুপ রায় জানান, হাওয়া বেগম গলায় রশি দেয়ার পূর্বে তার ফুফু বাড়িতে থাকতেন। আমরা তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি।

প্রতিনিধি/ এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর