গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় পাওনা টাকা না পাওয়ায় একটি পরিবারকে নিজ বাড়িতে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর শুক্রবার (৩ মার্চ) জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় কাশিয়ানী থানার রামদিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী হেরা বেগম।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের পরানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
রামদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন।
থানায় করা অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ওই গ্রামের ইলিয়াস আলী মোল্যার স্ত্রী হেরা বেগমের সঙ্গে প্রতিবেশী মমতাজ বেগমের আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে বৃহস্পতিবার বিকালে মমতাজ তার লোকজন নিয়ে হেরার বাড়িতে গিয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং হুমকি দেয়। পরে রাতে ওই গ্রামের মহিউদ্দিন মিন্টুর নেতৃত্বে মমতাজ বেগম ও টিপু মোল্যা তাদের লোকজন নিয়ে হেরার বাড়িতে গিয়ে হামলার চেষ্টা করেন।
বিজ্ঞাপন
হেরা পরিস্থিতি বুঝে নিজ বাড়িতে ঢুকে পড়েন। এ সময় মহিউদ্দিনের লোকজন বাড়ির প্রবেশের মূল ফটক ও দুটি দরজায় তালা দিয়ে তাদের অবরুদ্ধ এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চলে যান। সকালে বিষয়টি স্থানীয় গ্রামপুলিশ ভাষান মোল্যা ও ইউপি সদস্য রিজাউল মোল্যাকে জানালে তারাও তালা খুলে দিতে ব্যর্থ হন। ২৪ ঘণ্টা পর শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা ভেঙে তাদের অবমুক্ত করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ওই পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগে বলা হয়।
এ বিষয় অভিযোগের মুখে থাকা মহিউদ্দিন মিন্টু বলেন, আমি টাকা পাব না। আমার বড় ভাইয়ের স্ত্রী মমতাজ প্রতিবেশী হেরার কাছে টাকা পান। অনেকবার চাওয়ার পরও দিচ্ছেন না। তাই বাড়ির তিনটি প্রবেশ পথে তালা লাগিয়ে দিয়েছি।
ইউপি সদস্য রিজাউল বলেন, বিষয়টি সমাধানের জন্য রাতেই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে যাওয়া হয়েছিল। সমঝোতা করতে দুপক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসা হবে। কিন্তু তার আগেই বাড়িতে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন পাওনাদাররা। এটা মারাত্মক অন্যায়।
রামদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
টিবি