ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাদক কারবার ও সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে চাচা আশরাফুল ইসলামের ছুরিকাঘাতে ভাতিজা মো. নিয়ামুল ইসলাম (২৫) নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের নলগরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ চাচা আশরাফুল ইসলাম (৩৫) ও তার স্ত্রী রত্না বেগমকে (২৫) গ্রেফতার করেছে।
নিহত নিয়ামুল নলগরিয়া গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে এবং গ্রেফতার আশরাফুল ইসলাম একই বাড়ির আবদুল মোতালেবের ছেলে। তারা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পুলিশ গ্রেফতারদেরকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আফরিন আহমেদ হ্যাপীর আদালতে সোপর্দ করলে আসামি আশরাফুল ইসলাম নিয়ামুলকে খুন করার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আশরাফুল ইসলাম ও নিয়ামুল উভয়েই মাদক কারবারি করতেন। এ কারবার ও জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জেরে বুধবার বিকেল ৪টার দিকে আশরাফুল ইসলাম নিয়ামুলকে তার বাড়ির সামনে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তর্ক-বির্তকের এক পর্যায়ে নিয়ামুলকে ছুরিকাঘাত করে আশরাফুল।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ামুলকে আখাউড়া উপজেলা স্ব্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে নিহত নিয়ামুলের মা ইয়াছমিন বেগম বাদী হয়ে আশরাফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রত্না বেগমকে আসামি করে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ আশরাফুলের স্ত্রী রত্না বেগমকে গ্রেফতার করে।
বিজ্ঞাপন
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহমেদ বলেন, আশরাফুল ও নিয়ামুল উভয়েই মাদক কারবারি। মাদক কারবার ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আশরাফুল নিয়ামুলকে ছুরিকাঘাত করলে হাসপাতালে নেওয়ার পর নিয়ামুল মারা যায়।
এ ঘটনায় নিয়ামুলের মা বাদী হয়ে থানায় আশরাফুল ইসলাম ও তার স্ত্রীকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আমরা আশরাফুল ইসলাম ও রত্ন বেগমকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করেছি। আশরাফুল ইসলাম হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
প্রতিনিধি/এইচই
