পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করতে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনা পরবর্তী সময়ে ঢাকার বাইরে টুঙ্গিপাড়া ছাড়া এটিই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সফর। প্রধানমন্ত্রীকে বরণে তাই সাজ সাজ রব পুরো জেলা জুড়েই। দলীয় নেতাকর্মীসহ উচ্ছাসিত সাধারণ মানুষ।

বিজ্ঞাপন
বর্ণিল সাজে সাজানো হচ্ছে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে রং বেরংয়ে সাজানো হয়েছে ২২০টি নৌকা। উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের নজীবপুর গ্রামের আন্ধারমানিক নদীর তীরে বরিশাল চারুকলা ইনষ্টিটিউটের প্রায় ১০ জন শিক্ষার্থী গত এক সপ্তাহ ধরে তুলির আচড়ে জেলে নৌকায় ফুটিয়ে তুলছেন বিভিন্ন রকমের আল্পনা। বাহারী রংয়ের পাল এবং জাতীয় পতাকায় সেজেছে এসব নৌকা।

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ২১ মার্চ এ নৌকাগুলো পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটি সংলগ্ন রাবনাবাদ নদী মোহনায় সারিবদ্ধ করে রাখা হবে। প্রতিটি নৌকায় রং বেরংয়ের পোশাকে ২ জন করে ৪’শ ৪০ জন জেলে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন। স্থানীয়দের ধারণা, ২২০টি নৌকা বলতে দেশের ২২০টি আসনকে বুঝানো হয়েছে। আবার অনেকের ধারণা, উপকূলের জীবনযাত্রা এ নৌকার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হবে।

জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আগামী ২১ মার্চ পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে কেন্দ্রেটি উদ্বোধনের পাশাপাশি দেশের শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা করবেন।
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের জুন মাসে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে নর্থ ওয়েষ্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানী এবং চায়না সরকারের পক্ষে চায়না ন্যাশনাল মেশিনারী ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন যৌথ চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্যমে বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানী লিঃ গঠন করা হয়। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালীতে ১ হাজার ১৫ একর জমি অধিগ্রহন করে ২০১৫ সালের জুন মাসে শুরু হয় পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মান কাজ। ২০১৬ সালের মার্চ মাসে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের মূল কাজ শুরু করে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এনইপিসি। ২০১৬ সালের অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর এ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বানিজ্যিক ভাবে জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হয়। পরিবেশ দুষন রোধে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যাবহার করা হয়েছে আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল পদ্ধতি যা দেশে প্রথম এবং এশিয়ায় দ্বিতীয়। এ প্রকল্পে ব্যায় হয়েছে ১২ হাজার ২৮৪ কোটি টাকা। প্রকল্পের ৮০ শতাংশ ঋণ দিয়েছে চীনের এক্সিম ব্যাংক ও চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক।
এজে

