শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

মুন্সীগঞ্জে জাল সনদে শিক্ষকতার অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:৪৯ এএম

শেয়ার করুন:

মুন্সীগঞ্জে জাল সনদে শিক্ষকতার অভিযোগ

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে জাল সনদে সাত বছর শিক্ষকতা করার অভিযোগ উঠেছে মো. আমিনুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। উপজেলার ব্রাহ্মণগাঁও বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে জাল সনদের মাধ্যমে অফিস সহকারী (কেরানি) হিসেবে যোগদানের পরে আইসিটি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় তাকে। 

অভিযোগ উঠেছে— বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক, পরিচালনা কমিটির সভাপতি তাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। 


বিজ্ঞাপন


এদিকে বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন বিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য শামীম মোড়ল। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরুর কথা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।

শামীম মোড়ল বলেন, ১৯৯২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আমিনুল ইসলাম বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী (কেরানি) হিসেবে বিদ্যালয়ে চাকরি শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি তাকে আইসিটি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেখানো হয়। অথচ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল পরিপত্র জারির মাধ্যমে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয় চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এক বছর আগে সে কীভাবে নিয়োগ পায় আইসিটি বিভাগে? 

বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা জানান, আইসিটির জাল সনদ নিয়ে শিক্ষক হয়েছেন আমিনুল ইসলাম। চাকরি থেকে অবসরের পর সুবিধা নেওয়ার জন্য এমন জালিয়াতি করেছেন তিনি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট সবাই জানা সত্ত্বেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।

বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি মো. শামীম মোড়ল জানান, শুনেছি আমিনুল ইসলাম জাল সনদের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। পরে আমরা তার কাছে সনদ দেখতে চাইলে তিনি কমিটির কাউকে তার সনদ দেখাতে বাধ্য নন বলে জানান। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে এবং বিদ্যালয়ে এসে দেখে যেতে বলেন। 
 
বিদ্যালযের প্রধান শিক্ষক মো. হোসেন খসরু সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আমিনুল ইসলামের শিক্ষকতা করার যোগ্যতা সনদ বিদ্যালয়ের কোনো নথিতে নেই। 


বিজ্ঞাপন


উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শরীফ মো. মোর্তজা আহসান জানান, শিক্ষক আমিনুলের আইসিটির সনদ জাল কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করা হবে। সনদ জাল হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুল আউয়াল জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে। তদন্তে জাল সনদের বিষয়টি প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিনিধি/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর