শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

গাজীপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে কাউন্সিলর সমর্থকদের ওপর হামলা

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:০৯ এএম

শেয়ার করুন:

গাজীপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে কাউন্সিলর সমর্থকদের ওপর হামলা

পূর্ব শত্রুতার জেরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্বাস হোসেন খোকনের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় কাউন্সিলরের মোবাইল ভাংচুরের অভিযোগ করেছেন তিনি। 

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কাউন্সিলর আব্বাস হোসেন খোকন এই অভিযোগ করেন। 


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, কোনাবাড়ি থানা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণার পর সাবেক মেম্বার সফির ছেলে জিকুর সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাজমুল আলম সবুজের বিরোধ তৈরি হয়। ওই ঘটনায় জিকু তার দলবল নিয়ে নাজমুল আলম সবুজের ছোট ভাইকে তার বাসায় গিয়ে শাসিয়ে আসেন। এঘটনায় সবুজ কোনাবাড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে ১৫ দিন আগে কোনাবাড়ি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রহমান মাস্টার ও সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমানের উপস্থিতিতে বৈঠকে সুরাহা করা হয়। পরে দুই পক্ষকে মিলিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা হলে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে জানাতে বলা হয়। বিষয়টি সমাধানের পরে জিকু আমার এক সমর্থককে মারধর করেন। এর বিচার চাওয়ায় বুধবার দুপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সবুজকে জিকু ও তার দলবল অটোরিকশায় উঠিয়ে বাইমাইল এলাকায় নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের দিকে যান কাউন্সিলর। 

তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়ে তাদের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। পথে জিকু ও তার কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে দেখা হলে তাদের সঙ্গে কথা বলতে যাই। কিন্তু তারা আমার আইফোনটি কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে। একই সঙ্গে আমার কর্মী সমর্থকদের মারধর করে। 

এ ব্যাপারে কথা বলতে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে জিকু বলেন, সবুজ ময়লার গাড়ি থেকে চাঁদা ওঠায়। এটা নিষেধ করায় তার সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়। দুপুরে চাঁদা ওঠানোর সময় তাকে বাধা দেওয়া হয়। এসময় কাউন্সিলর এসে ভিডিও করতে থাকেন। তাকে ভিডিও করতে নিষেধ করার পর সম্ভবত ফোনটি পড়ে গিয়ে ভেঙে যায়।

কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম আশরাফ উদ্দিন বলেন, বাইমাইল ময়লার ভাগাড়ের সামনে কাউন্সিলর আব্বাসের কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে জিকুর সমর্থকদের মুখোমুখি অবস্থানের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে কাউন্সিলর দুই পক্ষকে থামাতে গেলে তার মোবাইলটি ভেঙে ফেলা হয়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন


প্রতিনিধি/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর